দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাজনের দেশ ব্রাজিলে চলছে বিশ্বকাপ। ব্রাজিল ৬৩ বছর পর আবার বিশ্বকাপের আয়োজন করলো তাই এই আয়োজনে ছিল পুরোনো জাঁকজমকপূর্ণতা ছাড়িয়ে যাবার প্রয়াস। আর এটি করতে গিয়ে আমাজন হারিয়েছে তার বনের একটি বিশাল অংশ। ব্রাজিলের মানাউস স্টেডিয়ামকে তৈরি করা হয়েছে আমাজন বনের একটি অংশ নিধন করে।
মানাউসের এই স্টেডিয়ামকে বলা হচ্ছে ব্রাজিলের বৃক্ষের কান্না। মানাউস ব্রাজিলের একটি ছোট শহর। প্রায় ২ মিলিয়ন লোক বসবাস করে এই শহরে কিন্তু অবকাঠামো দিক থেকে এই শহরে লক্ষ্য করার মতো কিছু ছিল না। যোগাযোগের একমাত্র পথ জলপথ। এই শহরে আসতে হলে দুটি পথে আসা যেত এক জলপথ আর অপরটি আকাশপথ অর্থাৎ বিমানযোগে। ঠিক এই শহরেই ব্রাজিল সরকার পরিকল্পনা করে এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে দামী স্টেডিয়ামটি তৈরি করবে। ৪৩ হাজার আসন বিশিষ্ট এই স্টেডিয়ামটি তৈরি করতে গিয়ে ব্রাজিল সরকার একটি নতুন শহরই তৈরি করে ফেলেছে। আর এটি করতে গিয়ে আমাজনের একটি বিশাল অংশ কাটা পড়েছে।
ফিফা ব্রাজিলের এই স্টেডিয়ামটি তৈরিতে সবচেয়ে বেশি অর্থ প্রদান করে। তারা এই স্টেডিয়ামটি তৈরি প্রসঙ্গে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বলে, ব্রাজিলিয়ান ফুটবল এবার প্রথাগত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসবে। এবার নিশ্চিতভাবেই মানাউস হবে বিশ্বকাপের মূল আকর্ষণ। ভিভালদাও নামের এই স্থানের পুরাতন স্টেডিয়ামটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় অ্যারেনা আমাজনিয়া নামের এই স্টেডিয়ামের কাজ শুরু করে সরকার। তখন থেকেই পরিবেশবিদ এবং বিভিন্ন পরিবেশ সংগঠন এই নির্মাণ কাজের বিরোধিতা করে আসছিলো। সমালোচকদের দাবি ছিল স্টেডিয়াম তৈরির ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ বনাঞ্চল ক্ষতির সম্মুখীন হবে তার পাশাপাশি তা পরিবেশের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। ইংলিশ ফুটবল কোচ রয় হডসন এই স্টেডিয়ামটিকে উপেক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি স্টেডিয়ামের গরম ও চিটচিটে আবহাওয়াকে দোষারোপ করেছেন।
তথ্যসূত্রঃ ফক্সনিউজ