দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৭টি পরিবারকে নিঃশ্ব করে নারায়ণগঞ্জ সেভের মার্ডার ঘটনার প্রধান আসামী নূর হোসেন কোলকাতায় রাজকীয় হালে ছিল। রাতভর মদ-বিয়ার আর চলতো উদ্দাম নৃত্য। এভাবেই কেটেছে তার গত একটি মাস।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবি চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে প্রথমে অপহরণ ও পরে নির্মমভাবে খুন করা হয়। এই নিহত ৭ পরিবারের আহাজারির মধ্যেই কোলকাতা পালিয়ে যায় নূর হোসেন। সেখানে গিয়ে বাসা ভাড়া করে সান-সওকতে বসবাস শুরু করেন। শুধু তাই নয়, সেখানে মদের আসরসহ নানা রকম ফুর্তিতে ছিলেন নূর হোসেন। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এসব খবর দিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম বলেছে, বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত হোসেনের সাহায্য নিয়েই নাকি কলকাতার উপকণ্ঠে নেতাজি সুভাস বোস বিমানবন্দরের কাছে কৈখালিতে লুকিয়ে ছিল নারায়ণগঞ্জ সেভেন মার্ডার ঘটনার মূল হোতা নূর হোসেন। গোয়েন্দা সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৭ মে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ে নূর হোসেন। ভারতে ঢোকার পর পুরো মে মাস বেশ কয়েক জায়গা ঘুরে জুনের ৫ তারিখে ঘর ভাড়া নেয় কৈখালিতে। তার আগেই নূর হোসেন ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ-র নজরে পড়ে যায়। সংবাদ মাধ্যম বলছে, দু্’দিন পর এসে গোয়েন্দারা নূর হোসেনকে সনাক্ত করে। তবে গ্রেফতার না করে তাকে নজরবন্দি করে রাখে। কৈখালির ফ্ল্যাট থেকেই নূর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
কোলকাতা পুলিশের কাছে জেরায় নূর জানিয়েছে, তার দুই সঙ্গী কোলকাতায় রয়েছে। তাদের খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু হয়েছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে নূর হোসেনের আগে থেকেই পরিচয় ছিল। শাহাদাত এক সময় কলকাতায় থাকতো। যাদের সাহায্য নিয়ে সে কলকাতায় থাকতো তাদেরই সহায়তা নিয়ে নূর হোসেন কোলকাতায় বসবাস শুরু করে। নূর হোসেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করছিল। কিন্তু বিধিবাম তার আগেই ধরা পড়ে যায় নূর হোসেন। নূর হোসেনের দুই সঙ্গী ও শাহাদাতের খোঁজেও তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।