দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রমজান এলে খাদ্যাভাসে বেশ পরিবর্তন আসে। যেহেতু সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয় তাই হঠাৎ করে এই পরিবর্তন আপনার শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে। আর তাই সেহরিতে বেশ কিছু খাবার বর্জন করা উচিত।
রোজা মুসলমানদের জন্য ফরজ। এই ফরজ কাজটি করতে গিয়ে আপনি অসুস্থ্য হয়ে পড়তে পারেন। এর কারণ হলো সোবহে সাদেক থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অর্থাৎ মাগরিবের আযান পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হয়। এ দীর্ঘ সময় পানাহার বন্ধ খাকার কারণে মাঝে-মধ্যে শারীরিক কিছু প্রতিবন্ধকতা দেখা দিতেই পারে। আর তাই শরীর ঠিক রাখতে সেহরির খাবারে কিছুটা নিয়ম মেনে চলা দরকার। কারণ সেহরির খাবারের উপর অনেকটা নির্ভর করবে আপনার সারাদিনের সুস্থতা। কিছু খাবার শারীরিকভাবে অনেক পুষ্টি প্রদান করে। আবার কিছু খাবার আমরা মজাদার হওয়ার কারণে খাচ্ছি। কিন্তু সেগুলো আমাদের প্রতিনিয়ত অসুস্থও করে তুলতে পারে। তাই জেনে নিন এমন কিছু খাবারের কথা যেগুলো সেহরিতে খেলে রোজা রাখায় সাহায্যতো করবেই না বরং কষ্ট বাড়াবে। সেহরিতে এইসমস্ত খাবার বর্জন করুন।
সেহরীর সময় খিচুরি জাতীয় খাবার বর্জন করুন। কারণ এটি অত্যন্ত গরম একটি খাবার। খিচুরি খেলে শারীরিকভাবে অসুস্থও হয়ে যেতে পারেন। তাছাড়া এই খিচুরি আবার পেটের সমস্যাও তৈরি করতে পারে। তাই সেহরির রাতে খিচুরি বর্জন করুন।
ডাল আমাদের প্রধান একটি খাবার। মাছ, মাংস, তরি-তরকারি যায়ই থাক না কেনো ডাল আমাদের থাকতেই হবে। আর তাই কথায় কথায় বলা হয়ে থাকে, ‘চারটে ডাল ভাত খেয়ে যাবেন’। ডাল খালি পেটে প্রচুর গ্যাস তৈরি করে থাকে। আর তাই সেহরির রাতে ডাল জাতীয় খাবার না খাওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ডালভুনা, মুগ বা বুটের ডাল পেটের গ্যাস তৈরি করে থাকে। তাই এগুলো বর্জন করায় ভালো। যদি নেহায়েত খেতে চান তাহলে পাতলা করে মসুর ডাল খান। তানা হলে হয়তো সারাদিন পেটের ব্যথায় কাতর থাকতে হবে।
আমরা সবাই জানি ডিম একটি পুষ্টিকর খাবার। কিন্তু এটি সেহরীর জন্য মোটেও প্রযোজ্য নয়। ডিম শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও ভিটামিন পূরণ করলেও এটিতে এ্যাসিডিটি রয়েছে। তাই এটি বর্জন করতে হবে। বিশেষ করে ডিমের কোনো রান্না তরকারি সেহরীতে না খাওয়ায় ভালো।
লেবু হজম করতে সাহায্য করে। আর তাই এটি আমরা সকল ক্ষেত্রেই ব্যবহার করার চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু সেহরীর ক্ষেত্রে এটি একেবারেই বর্জনীয় বিষয়। কারণ খালিপেটে লেবু অত্যন্ত অ্যাসিডিটি সৃষ্টি করে। যে কারণে সেহরিতে কখনও লেবু খাবেন না। লেবু খেলে অ্যাসিডিটির কারণে আপনাকে চরম এক বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হতে পারে।
সেহরির সময় তেলযুক্ত খাবার থেকে আপনাকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। তানাহলে সারাদিন আপনাকে কষ্ট করতে হতে পারে। অধিক তেলযুক্ত খাবার বর্জন করুন।
এছাড়াও ফাস্টফুড জাতীয় খাবার, কোল্ড ড্রিংকস, পোলাও, বিরিয়ানি, ডালের বড়া অথবা এ ধরনের ভাজাভুজি জাতীয় খাবার সেহরির সময় বর্জন করায় ভালো।
This post was last modified on জানুয়ারী ২৩, ২০২৪ 12:19 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেত্রী কাজল কখনই তার নামের সঙ্গে কোনো পদবি ব্যবহার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাড়ির বাগানে ফণা তুলে দাঁড়িয়ে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৪ বৈশাখ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরমের এই সময় ঘামাচির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। আর তখন ঘামাচি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের ইনোভেটিভ ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংকের ডেপুটি সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রকৃতপক্ষে কম ঘুম মানেই স্থূলত্ব এবং বেশি ঘুম মানেই রোগা…