দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেসবুক প্রায় সাত লাখ ব্যবহারকারীর ওপর গোপন মনস্তাত্বিক পরীক্ষা চালিয়েছে। গোপন এই পরীক্ষা চালানোর ফলে সমালোচনার মুখে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিউজ ফিডে ইতিবাচক পোস্ট এবং নেতিবাচক পোস্টের মাধ্যমে সেগুলো তাদের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলছে তা পরীক্ষা করছিলো।
ফেসবুকের এই গোপন পরীক্ষার উপর এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এই মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষাটিতে ফেসবুকের সঙ্গে কর্নেল ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া জড়িত ছিল। কিন্তু এই সমালোচনার প্রতিবাদে ফেসবুক জানিয়েছে, কোনো অপ্রয়োজনীয় ডেটা তারা সংগ্রহ করেনি। যেসব ডেটা ব্যবহার করা হয়েছিল তার কোনোটিই কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির ফেইসবুক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত করা হয়নি।
কিন্তু এগুলো জানালেও পরীক্ষাটি নিয়ে সমালোচনা এড়াতে পারেনি ফেসবুক, অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো এই বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে লরেন ওয়েনস্টিন এ বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন, ফেসবুক গোপনে ব্যবহারকারীদের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে তাদেরকে বিষন্ন বানানোর চেষ্টা করছে, এর চেয়ে বেশি কী আর হতে পারে? অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে সরকার এই বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। এই তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য লেবার পার্টির এমপি জিম শেরিডান বলেছেন, “যদি মানুষের চিন্তা-চেতনাকে এভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা হয় তবে তাদের নিরাপত্তার প্রয়োজন এবং অন্তত তাদেরকে জানিয়ে এসব কাজ করা উচিত।”
সমালোচনার তীব্র ঝড় উঠলে পরীক্ষাটির প্রতিবেদনের সহ-রচয়িতা ফেসবুকের অ্যাডাম ক্র্যামার বলেছেন, “আমরা বুঝতে পারছি কেন কিছু সংখ্যক ব্যক্তি এ বিষয়ে চিন্তিত এবং আমরা আসলেই দুঃখিত প্রতিবেদনে পরীক্ষাটিকে এভাবে তুলে ধরার জন্য।”
তথ্যসূত্রঃ টেলিগ্রাফ