দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিক্ষার্থীদের গণিত ভীতি একটি সাধারণ বিষয় হলেও বাংলাদেশী মেয়ে নাভিমের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি ঘটেছে উল্টো। নাভিম গণিতে ভয় তো পায়ই না, বরং গণিত নাভিমকে ভয় পায়। কেননা, নাভিমের কাছে কোন গাণিতিক সমাধান বের করা অনেকটা খেলার মতন। নাভিমের গণিত দক্ষতা এতটাই যে, চোখের পলকে এক একটা গাণিতিক সমাধান বের করে ফেলতে পারে। অবিশ্বাস্য এই দক্ষতার জন্য স্বয়ং ক্লাশের শিক্ষিকা তাকে ভয় পান!
গণিতের এই বিস্ময় বালিকার পুরো নাম নাভিম যানযাবিল। ২০০৩ সালে নিউজিল্যান্ডে নাভিমের জন্ম। নাভিমের বাবা-মা দুজনই বাংলাদেশী। তাঁরা বর্তমানে নিউজল্যান্ডে থাকেন। সে পড়াশোনা করে স্থানীয় মেরিনা ভিউ স্কুলে। মাত্র ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়তে থাকা অবস্থাতেই সে সমাধান করে ফেলতে পারে বীজগণিত, ক্যালকুলাস, ত্রিকোণমিতি, রৈখিক গ্রাফ, প্যারাবলস, জ্যামিতি, লগারিদম ইত্যাদি- যা বাংলাদেশে উচ্চতর গণিত বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিক ও কিছু কিছু স্নাতক পর্যায়ে পড়ানো হয়।
কালের কন্ঠে তাকে নিয়ে প্রকাশিত ফিচার থেকে জানা গেল, গণিতের প্রতি তার এই ভালোবাসা একদম ছোট বেলা থেকেই। গণিত বিষয়ক খেলাগুলো তার ভালো লাগতো। এগুলো নিয়ে কেটে যেতো দিনের বেশির ভাগ সময়। পড়াশুনার হাতেখড়ির পরই, আঙ্গুল দিয়ে গণনা করে অংক মেলাতো নাভিম। ধীরে ধীরে গণিতের প্রতি তার দখল আর আগ্রহ দেখে তার বাবা-মা বুজতে পারেন, নাভিমের মধ্যে রয়েছে গণিতের প্রতিভা।
নাভিমের গণিত প্রতিভা আরো বিকশিত করতে, তার বাবা মা তাকে ভর্তি করিয়ে দেন কুমন এডুকেশন সেন্টারে। মাত্র সাত বছর বয়সে গণিতচর্চার জন্য এই সেন্টারের ভর্তি হয় নাভিম। এইখানে গণিত শেখানো হয় হাতে কলমে। শিক্ষার্থীরা ক্যালকুলেটর বা হাত গণনা করে সমাধান বের করতে দেয়া হয় না। এই এডুকেশন সেন্টারে এমন কিছু পরিসংখ্যানব্যবস্থা আছে, যা নিয়মিত অনুসরণ করলে ছাত্ররা সহজেই গণিতের সমাধান বের করতে পারে।
গণিতে এগিয়ে থাকা নাভিমের এই পর্যায়ে আসতে করতে হয়েছে প্রচুর অধ্যাবসায় এবং পরিশ্রম। নিউজল্যান্ডে বসবাস করলেও, বাংলাদেশের জন্য তার ভালোবাসা অটুট রয়েছে। মাথা ভর্তি গণিত থাকলেও, নাভিমের ভবিষ্যৎ ইচ্ছা ডাক্তার হওয়ার।
তথ্যসূত্র: কালের কন্ঠ