দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাজা থেকে ইসরায়েলের সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার পর ফিরতে শুরু করেছে হামাসবাসী। কিন্তু বিধ্বস্ত নগরীতে পানি বিদ্যুৎ কিছুই নেই। এক অমানবিক জীবনের পথে এসে দাঁড়িয়েছে হামাসবাসী।
চার সপ্তাহের যুদ্ধ আপাতত শেষ হলেও এতে নিহত হয়েছে নারী-শিশুসহ প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় সব ঘর-বাড়ি। হামাসের ৫ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। যুদ্ধ শুরুর পর তারা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন স্থানে সরে গিয়েছিলেন। আবার ইসরায়েলে সৈন্য সরে যাচ্ছে দেখে ফিরতে শুরু করেছেন। কিন্তু যে ঘর-বাড়ি তারা রেখে গিয়েছিলেন সেখানে এখন শুধুই ধ্বংসস্তুপ। মানুষের বসবাসের মতো কিছুই আর অবশিষ্ট্য নেই। পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই। কিভাবে গাজাবাসী আবার উঠে দাঁড়াবেন তার কোনো কূল-কিনারা পাচ্ছেন না। এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে গাজায়।
গাজায় চার সপ্তাহের ইসরায়েলি অভিযানের পর মানবিক অস্ত্রবিরতি চলছে। এই সময়ের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী সন্ধির বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে মিশরের রাজধানী কায়রোতে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে হামাস এবং ইসরায়েল।
মিশর স্থায়ী সমাধানের জন্য এই মধ্যস্থতা করছে। এদিকে অস্ত্রবিরতির পর প্রত্যাহার করা সৈন্যদের পুরোপুরি না সরিয়ে, গাজার বাইরে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে পুনরায় মোতায়েন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলী সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র লে. কর্নেল পিটার লার্নার।
গাজায় হামাসের নির্মিত সকল সুড়ঙ্গ ধ্বংস করার মিশন সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলী সেনাবাহিনী। তবে অভিযান সবসময়ই প্রতিরক্ষামূলক ছিল বলে উল্লেখ করে এখনও বিভিন্ন বিষয়ে তাদের শঙ্কা কাটেনি এমন মনোভাব দেখিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর এক মুখপাত্র মার্ক।
এদিকে গাজার এই ধ্বংস লীলা বন্ধের জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ ও বিধ্বস্ত গাজাবাসীদের সহায়তার জন্য মানবিক সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ।