দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কলাগাছের ছালকে প্রক্রিয়াজাত করে উৎপাদন করা যাবে মূল্যবান সুতা। ধানের তুষের ছাই থেকে উৎপাদিত হবে সাবান ও ডিটারজেন্ট জাতীয় মূল্যবান পণ্যের কাঁচামাল সোডিয়াম সিলিকেট। বাঁশ পাতা ও ধানের তুষ দিয়ে তৈরি করা যাবে মূল্যবান কাগজের বোতল। কথাগুলো অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। দেশের নবীন গবেষকদের বরাত দিয়ে এই তথ্য পাওয়া গেছে অনলাইন পত্রিকা সূত্রে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন আয়োজিত ব্যবসায় পরিকল্পনা প্রতিযোগিতায় এ জাতীয় ৪৭৫টি আবিষ্কারপত্র জমা দিয়েছেন তরুণ বিজ্ঞানীরা। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে টাকা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সমপ্রতি বক্তারা বলেছেন, প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এমন হাজার হাজার উদ্ভাবনী প্রতিভা হারিয়ে যাচ্ছে।
সমপ্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। এমএসই ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইর নবনির্বাচিত সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ ও এমসিসিআইর সাবেক সভাপতি এম আনিস উদ-দৌলা। এতে অন্যান্যের মধ্যে প্রতিযোগিতার টেলিকম পার্টনার ও বাংলালিংকের উপপরিচালক (বিপণন) সোলায়মান আলম, প্রতিযোগিতায় বিজয়ী তরুণ ব্যবসায় পরিকল্পনাকারী সামিয়া শরীফ, মো: ইব্রাহিম খলিল চৌধুরী ও রিশাদ আহমেদ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে হলে, দেশে নতুন নতুন সৃজনশীল শিল্পোদ্যোগ লাগবে। কেবলমাত্র কৃষি খাতের ওপর নির্ভর করে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে শ্রমঘন ও পরিবেশবান্ধব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। তারা এসএমই শিল্প খাত বিকাশের জন্য শক্তিশালী ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ গড়ে তোলার তাগিদ দেন। এ ল্যে তারা দেশের তরুণ ও মেধাবী উদ্যোক্তাদের সৃজনশীল নতুন নতুন শিল্পোদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দিলীপ বড়ুয়া বলেন, প্রতিযোগিতায় বিজয়ী তরুণ ব্যবসায় পরিকল্পনাকারীদের প্রকল্প বাস্তবায়নে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ পেতে এসএমই ফাউন্ডেশন থেকে সহায়তা দেয়া হবে। এক্ষেত্রে তিনি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা কামনা করেন। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী তরুণ শিল্পোদ্যোক্তারা ভবিষ্যতে শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনবদ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ ব্যবসায় পরিকল্পনা প্রতিযোগিতা তরুণ ব্যবসায় পরিকল্পনাকারীদের স্বপ্নের দুয়ার খুলে দেবে বলে তিনি জানান।
দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করতে শিল্প মন্ত্রণালয় শিগগিরই বুয়েটের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বার করবে জানিয়ে তিনি বলেন, এর আওতায় বুয়েটের শিার্থীদের উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে বিপণন করে প্রাপ্ত রয়্যালটির অর্থ শিার্থীদের গবেষণা কাজে আবার বিনিয়োগ করা হবে। এর মাধ্যমে দেশে সৃজনশীল তরুণ শিল্পোদ্যোক্তা ও গবেষক সৃষ্টির পথ সুগম হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। শিল্পমন্ত্রী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান বিজয়ীদের হাতে যথাক্রমে পাঁচ লাখ টাকা, চার লাখ টাকা ও তিন লাখ টাকার চেক এবং ক্রেস্ট তুলে দেন।