দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশীয় চা ছাড়াও বিদেশী অনেক চা আমদানি হয়ে থাকে। তবে এবার এক ভয়ঙ্কর খবর পাওয়া গেছে। আর তা হলো ভারত থেকে যেসব চা আসছে সেগুলো নাকি বিষাক্ত!
হাতে গোনা কিছু মানুষ বাদে সবাই চা খেয়ে থাকেন। এই চা আমাদের দেশেও প্রচুর উৎপাদন হয়। সিলেট থেকে আসে এদেশের টাটকা চা। তবে এর বাইরেও রয়েছে বিদেশী আমদানিকৃত চা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই বিদেশী চা বিশেষ করে ভারতীয় চা নিয়ে এক চাঞ্চলকর খবর বেরিয়েছে। আর তা হলো ভারতীয় চা নাকি বিষাক্ত চা। এই খবরে অনেকই বিস্মিত এবং শংকিতও। কারণ বাসায় যে চা আমরা খাচ্ছি সেগুলো হয়তো দেখে দেশিগুলো খাওয়া সম্ভব। কিন্তু হোটেল বা রেস্টুরেন্টে গিয়ে যে চা আমরা পান করছি সেগুলো যদি ভারতীয় হয়?
কারণ জানা গেছে, ভারতীয় চা বিষাক্ত কীটনাশক মেশানো বলে সম্প্রতি দেশটির খাদ্য এবং কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভারতের চা শিল্পের হালচাল নিয়ে ‘ফুড অ্যন্ড অ্যাগ্রিকালচার টিম অফ গ্রিনপিস ইন্ডিয়া’ নামে ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেবল দেশের বাজারের কর্তৃত্বেই নয় অন্যান্য দেশ যেমন রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, েব্রিটেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইরানসহ আন্তর্জাতিক বাজারেও রফতানি করা ভারতীয় চায়ে আশঙ্কাজনক মাত্রায় কীটনাশক মেশানো হচ্ছে।
ভারতীয় শীর্ষ ১১টি চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠানের ৪৯টি পৃথক প্যাকেজ চা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ৪৬টির মধ্যেই অন্তত একধরনের হলেও বিষাক্ত কীটনাশক মেশানো।
আবার এসব নমুনার ২৯টিতেই বিষাক্ত কীটনাশকের মিশ্রণের পরীক্ষার ফলাফলে ‘পজিটিভ’ পাওয়া যায়। আবার এসব নমুনায় পৃথক ব্র্যান্ডের অন্তত ৩৪ ধরনের কীটনাশক পাওয়া যায়।
নমুনার প্রত্যেকটিতে প্রায় ৬৭ শতাংশ করে নিষিদ্ধ ডিডিটি কীটনাশক (ডাইক্লোরো ডাইফেনাইল ট্রাইক্লোরো ইথেন ও গৃহস্থালি পরিষ্কারে ব্যবহৃত রাসায়নিক) পাওয়া যায়। ১৯৮৯ সালে বিপজ্জনক চিহ্নিত করে এই কীটনাশকটি ভারতীয় কৃষিতে ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
ভারতের ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ সালের মে মাস হতে ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই গবেষণা চালিয়েছে।
এই যদি অবস্থা হয় তাহলে ভারতীয় চা কিনে খাওয়া কতখানি স্বাস্থ্যকর তা বিবেচনায় আনতে হবে। তাছাড়া ভারতীয় চা আমদানির ক্ষেত্রেও বিষয়টি পূনরায় ভাবতে হবে।