দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিউইয়র্কের ব্রায়ান ডেটমারকে বলা হয় বুক সার্জন। বুক সার্জন মানে কি? তিনি কি বই খাতা সেলাই করেন? না, বিষয়টি এই রকম নয়, তিনি বই কেটে তৈরি করেন অসাধারণ ভাস্কর্য। তিনি সাধারণত এই বই কাটার বিষয়ে পুরোনো বইগুলোকেই বেঁছে নেন। তবে এই ক্ষেত্রে বইগুলো যথেষ্ট পরিমাণ মোটা হতে হয়। এতে করে ভাস্কর্যের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পায়।
ব্রায়ান ডেটমার তার এই বই দিয়ে ভাস্কর্য তৈরির ক্ষেত্রে বেঁছে নেন নানা ধরনের পুরোনো ম্যাপের মোটা মোটা বই, এনসাইক্লোপিডিয়া, ম্যানুয়াল বুক ইত্যাদি। আর বই কাটার ক্ষেত্রে তিনি ব্যবহার করেন মেডিক্যাল সার্জিকাল টুইযার, নাইফ এবং স্ক্যাল্পাল। আপনি যদি ব্রায়ান ডেটমারের এই কাজের সমালোচনা করে থাকেন তবে আপনাকে নতুনভাবে বিষয়টি ভাবতে হবে কেননা ব্রায়ান তার এই ভাস্কর্য তৈরির ক্ষেত্রে তিনি এমন কোন বইকে বেঁছে নিচ্ছেন না যা মানুষকে জ্ঞানের আধার থেকে দূরে সরিয়ে দিবে। বরং ব্রায়ান এই ক্ষেত্রে বলছেন, আমি এমন কিছু বই বেঁছে নিই যেগুলো বিভিন্ন রিসাইকেল কোম্পানী কুড়িয়ে নেয় রিসাইকেল করে কাগজ তৈরির জন্য আর আমি সেই বইগুলোতে আমাদের অতীত ইতিহাসের ভাস্কর্য তুলে ধরি। তাহলে চলুন ব্রায়ান ডেটমারের সেই কাজগুলো দেখে নেওয়া যাক।
ভিক্টর হিউগোর এই বইটি দিয়ে ব্রায়ান তৈরি করেছেন অসাধারণ ভাস্কর্য।
কি চমৎকার মানুষের মুখাবয়বের অন্তর্গঠন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বইয়ের পাতায়।
অনেকগুলো বই দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই ভাস্কর্যের চাকতি।
আপনি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারবেন না যে, বই দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই ভাস্কর্য, দেখে মনে হবে পাথরে খোদাই করা ভাস্কর্য।
আরেকটি অসাধারণ ভাস্কর্য।
প্রাণীবিজ্ঞানের একটি বই দিয়ে তৈরি করেছেন প্রাণীজগতের এই ভাস্কর্য।
বইয়ের পাতায় ফুটে উঠা কারো ছবি দেখে কি মনে হচ্ছে আপনার।
একটি মানচিত্রের বইকে ব্রায়ান এমনভাবে খোদাই করেছেন যে, মনে হচ্ছে ভুগর্ভের ভেতরের চিত্র ফুটে উঠেছে।
দেখে নিন ব্রায়ান কিভাবে মেডিক্যাল ইকুপমেন্ট দিয়ে বইয়ের সার্জন করে থাকেন। ব্রায়ান ডেটমারের আরো কিছু কাজ দেখুন নিচে-
তথ্যসূত্রঃবোরপান্ডা