দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গতকাল থেকে শুরু হয়েছে হজ ফ্লাইট। ঈদের আগে পর্যন্ত চলবে হজ ফ্লাইট। বেশির ভাগ হজযাত্রীরা প্রথমবারের মতো যাচ্ছেন। যাত্রাকালে ফ্লাইটে কি কি বহন করা যায় তা অনেকের জানা নেই। ফ্লাইটে কি কি বহন করা যাবে, না যাবে তা জেনে নিন।
এ বছর হজে যাওয়ার জন্য গতকাল বুধবার প্রথম ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম হজ ফ্লাইটে ৪১৯ গেছেন। গতকালই হজ ফ্লাইট বিজি-৩০১১ দুপুরে ৪১৯ জন, বিজি-৫০১১ বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে ৩১৯ জন ও সিডিউল ফ্লাইট বিজি-০০৩৫ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে সাধারণ যাত্রীসহ কিছু হজ যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ে।
এ বছর প্রায় ৯৮ হাজার ৭৫৭ জন হজযাত্রী পবিত্র হজব্রত পালনে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব গমন করবেন বলে জানা গেছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিমানে যাবেন মোট ১ হাজার ৫১০ জন এবং অবশিষ্ট ৯৭ হাজার ২৪৭ জন বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় যাবেন।
বিমানে কি কি বহন করা যাবে বা না যাবে:
# এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক হজযাত্রী বিনামূল্যে ৩০ কেজি মালামাল বিমানে ও কেবিন ব্যাগেজে ৭ কেজি মালামাল নিতে পারবেন। প্রত্যেক হজ যাত্রীর জন্য ১০ লিটার করে জমজমের পানি ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। হাজী সাহেবানরা হজব্রত পালন শেষে ঢাকায় ফেরত আসার পর তাদের প্রদান করা হবে। তারা সঙ্গে করে কোন পানি বিমানে বহন করতে পারবেন না।
# যে কোন ধারালো বস্তু যেমন: ছুরি, কাঁচি, ধাতব নির্মিত দাঁত খিলন, নেইলকাটার, কান পরিস্কারক, তাবিজ এবং গ্যাস জাতীয় বস্তু যেমন- এ্যারোসল ও ১০০ (এমএল)-এর বেশি তরল পদার্থ হ্যান্ড ব্যাগেজে বহন করা যাবে না।
# চলতি বছর নতুন নিয়ম অনুযায়ী হাজী সাহেবানদের কষ্ট লাগব করার জন্য ফিরতি ফ্লাইটের (জেদ্দা হতে বাংলাদেশ) ব্যাগেজ জেদ্দা এয়ারপোর্ট এ চেক্-ইন এর সময় বিমানে গ্রহণ করা হবে না। এই ব্যাগেজ আগেই মক্কা ও মদিনায় বিমান কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে এবঙ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবশ্যই জমা দিতে হবে। এসব ব্যাগেজ বিমানের ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট হাজী সাহেবানদের বহনকারী ফ্লাইটেই পরিবহন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
# বিমান কর্তৃক পরিচালিত ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটসমুহের হজ যাত্রীদের চেক-ইন, ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা প্রতিবারের ন্যায় এবারও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন হজ ক্যাম্পেই সম্পন্ন হবে। তবে সিডিউল ফ্লাইটের হজ যাত্রীদের যাত্রাপূর্ব আনুষ্ঠানিকতা যথা নিয়মে বিমানবন্দরেই সম্পন্ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।