দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বড়ই করুণ অবস্থায় দিন যাচ্ছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের। পদ্মা-যমুনার প্রবল স্রোতে ভেসে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। অসহায় লক্ষ লক্ষ মানুষ। খাবার পানি নেই, দাঁড়ানোর জায়গা নেই, নেই কোনো ত্রাণ সামগ্রি। এক অসহায় মানবেতর জীবন-যাপন করছে বন্যার্তরা।
সারাদেশের বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বগুড়ার তিন উপজেলায় দেড় লাখ মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এই তিন উপজেলার নতুন নতুন এলাকায় গতকালও পানি প্রবেশ করেছে। অপরদিকে দোহার উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। রানীপুর ব্রিজ পদ্মার প্রবল স্রোতে ভেঙে গেছে। গতকালও সর্বত্র পদ্মার ভাঙনে সর্বস্বান্ত হয়েছে প্রায় ১০০ পরিবার।
তবে সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। গতকাল সকালে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অপরদিকে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর পয়েন্টে পদ্মা নদী মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। পানি বাড়া এবং কমার সঙ্গে সঙ্গে গৃহহীন হয়ে পড়ছে পদ্মা পাড়ের বহু মানুষ। জানা গেছে, হরিরামপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন বন্যাগ্রাসের শিকার হয়েছে। তাছাড়া বন্যার পানির তোড়ে নদী ভাঙ্গনও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন স্থানে গ্রামের পর গ্রাম ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলিন হয়ে গেছে।
সারাদেশেই কোনো না কোনো স্থানে বন্যার পানি বাড়ছে। আবার কিছু কিছু স্থানে বন্যার পানি স্বাভাবিক থাকলেও বানভাসি মানুষের দুর্ভােগের অন্ত নেই। কিছু কিছু স্থানে স্থানীয় জেলা প্রশাসন ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করলেও তা একেবারেই অপ্রতুল। তাছাড়া অনেক স্থানেই কোনো ত্রাণ সামগ্রি যায়নি- এমন অভিযোগও রয়েছে। বন্যাদুর্গততের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। যে যেভাবে সম্ভব বন্যাদুর্গতের পাশে দাঁড়াতে হবে। জাতীয় এসব দুর্যোগ মোকাবেলা সমবেতভাবে করতে হবে।
বন্যার্তদের সাহার্যার্থে অন্যান্যবারের মতো এবার খুব একটা উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। সেচ্ছাসেবী সংগঠন ছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে। অসহায় নিরন্ন মানুষের পাশে সকলকে দাঁড়াতে হবে। বাঙালি জাতি হিসেবে এটি সকলের কাছেই আমাদের প্রত্যাশা।