দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লন্ডনের প্রভাবশালী সাময়িকী দি ইকোনমিস্ট বাংলাদেশে একাত্তর সম্পর্কে আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করেছে। একাত্তরের ‘গণহত্যা’র বিষয়ে ইকোনমিস্ট বলেছে, একাত্তরে ঘটেছিল ‘প্রায়-গণহত্যা’!
লন্ডনের এই প্রভাবশালী সাময়িকী দি ইকোনমিস্ট বিভিন্ন সময় বিশেষ করে বাংলাদেশে একাত্তরে পাকস্তানি হানাদার বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত গণহত্যাকে জেনোসাইড হিসেবে পুরোপুরি মানতে চাননি। বার বার এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছে। গতকাল প্রকাশিত পত্রিকাটির সর্বশেষ সংশোধনীতে একাত্তরের যুদ্ধ প্রসঙ্গে পত্রিকাটি ‘নিয়ার জেনোসাইড’ বা ‘প্রায়-গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করেছে। এই বিষয়টি নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিতে যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের বর্তমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে একাত্তরের নৃশংসতাকে একেবারে পরিষ্কারভাবে ‘জেনোসাইড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এপর্যন্ত যাদের দণ্ড দেয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও আদালতে জেনোসাইডের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এরকম স্পর্ষকাতর বিষয়টি নিয়ে দি ইকোনমিস্ট ‘নিয়ার জেনোসাইড’ শব্দটি ব্যবহার করে আবারও বিতর্কিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে যাচ্ছে।
দিল্লি হতে পাঠানো ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘পাকিস্তান ইন টারময়েল, আনলিশিং দ্য মব।’ ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সেনাবাহিনী দেশটি প্রতিষ্ঠার অর্ধেক সময় নিজেরা সরাসরি এবং বাকি সময় পর্দার আড়াল হতেই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।’ এরপর পত্রিকাটি আরও লিখেছে, ‘ইট ইনভলভড ইন এ নিয়ার-জেনোসাইড দ্যাট লেড টু দ্য সেশন অব বাংলাদেশ।’ (তারা একটি ‘প্রায়-গণহত্যা’র সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়, আর সেটাই বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়)।
বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৯ মাসে সংঘটিত ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত ‘গণহত্যা’কে দি ইকোনমিস্ট আন্তর্জাতিক আইনমতে জেনোসাইড বা ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকার করে নিতে দ্বিধান্বিত কেনো? এমন প্রশ্ন আসছে সকলের মনেই। ইতিপূর্বেও বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ একাত্তরের গণহত্যার বিচারকে দি ইকোনমিস্ট ভিন্ন খাতে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এটিও তেমনই একটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি বলেই মনে করছেন এদেশের নাগরিকরা।