দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিশুদের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন খুব দ্রুত হয়ে থাকে। তাই তাদের মেজাজ মর্জির ক্ষেত্রেও দেখা যায় বিস্তর পরিবর্তন। হয়তো খুব সামান্য একটি খেলনার জন্য রাগারাগি কিংবা হাতাহাতি শুরু করে দিলো। আবার খুব বড় কিছু হারিয়ে গেলেও রইলো নিরুত্তর। তাই শিশুদের এই সকল বিষয়ে কিছুটা বুদ্ধিমত্তার সাথে সামাল দিতে হয়।
১। রেগে গেলে রাগ থামানোর চেষ্টা করবেন নাঃ
আপনার শিশুটি যদি খুব রেগে যায় তবে তার রাগ থামানোর চেষ্টা না করাই ভালো। রাগ থামাতে গেলে তার রাগ আরো বেড়ে যাবে। হয়তো ভাঙ্গাভাঙ্গি শুরু করবে। রেগে গেলে তার রাগ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে দিন। এতে করে সে রাগের ক্ষেত্রে নিজের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি ধারণ করতে পারবে।
২। কিছুটা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুনঃ
আপনার শিশুটি রেগে গেলে তার রাগকে আমলে না নিয়ে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। এমন ভাব করুন যে, আপনি তার রাগকে খেয়ালই করেননি। রাগান্বিত অবস্থায় তার রাগকে আমলে নিলে সে রাগকে প্রকাশের জন্য আরো রাগ দেখাবে। তাই এড়িয়ে চলাটাই ভালো।
৩। প্রহার করবেন নাঃ
আপনার শিশুটি রেগে গেলে তাকে কখনোই প্রহার করতে যাবেন না। এই প্রহারটি তার মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত করবে তাকে আরো বেশি রাগতে উৎসাহিত করবে। আপনার প্রতি তার একটি ঘৃণা জন্মাবে। তাই শিশুদের প্রহার করবেন না।
৪। মনোযোগ অন্য দিকে সরানোর চেষ্টা করুনঃ
আপনার শিশুটি রেগে গেলে তার মনোযোগটি অন্য দিকে সরিয়ে নেওয়ার একটি পরোক্ষ চেষ্টা করুন। যেমন আনমনে আপনি গিয়ে তার প্রিয় কার্টুন কিংবা প্রিয় গান ছেড়ে দিলেন। অথবা তার প্রিয় খাবারটি চমৎকারভাবে সাজিয়ে টেবিলে রাখলেন। দেখবেন তার মনোযোগ রাগ থেকে এখানে চলে এসেছে।
৫। তার সাথে কোমল ভাষায় কথা বলুনঃ
এটি সবচেয়ে চমৎকার একটি শিক্ষণীয় পদ্ধতি। এতে করে আপনার শিশুটি রাগের নেতিবাচক দিকটি বুঝতে পারবে। তাকে একটি উচু জায়গায় বসান তারপর তার সাথে কোমলভাবে কথা বলুন। সে যদি শপিং এ গিয়ে একটি নতুন খেলনা কিনে দেওয়ার জন্য রাগ দেখায় তাকে বাইরে নিয়ে আসুন। রাস্তার পথশিশুদের দেখিয়ে তাদের খেলনা না থাকার কষ্ট তার সামনে তুলে ধরুন। বিশ্বাস করুন, তার ভেতরে একটি সুন্দর মানসিক সত্তা তৈরি হবে।