দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খৈয়াছড়া ঝর্ণা আকার আকৃতি ও গঠনশৈলির দিক দিয়ে এটি হচ্ছে নিঃসন্দেহে এখনও পর্যন্ত দেশের বৃহৎ। খৈয়াছড়া ঝর্ণার মোট ৯ টি মুল ধাপ এবং অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন ধাপ রয়েছে। পর্যটকদের ভাষ্য মতে এমন আর একটা ঝর্ণাও বাংলাদেশে আর দেখা যায়নি।
ম্যাপ- Latitude: 22°46’12.51″N Longitude: 91°36’45.20″E
চলুন জেনে নি কিভাবে যাওয়া যাবে অনিন্দ্য সুন্দর এই ঝর্ণায়? আপনি যদি ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম মুখি হয়ে আসতে চান তবে চট্টগ্রামের ট্রানজিট পয়েন্ট মিরসরাই পার হয়ে বারতাকিয়া বাজারের আগে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের সামনে ঢাকা চট্টগ্রাম রোডে আপনাকে থামতে হবে।
এখানে এসে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের প্রায় ত্রিশ গজ আগে একটি রাস্তা ঢাকা চট্টগ্রাম রোড হতে ডান দিকে ঢুকেছে ওই দিকে না যেয়ে আপনি ঐখান থেকে হাতের বাম দিকে গ্রামের রাস্তা ধরে দশ মিনিট হাঁটলে পথেই আপনি একটি রেল লাইন দেখতে পাবেন। রেললাইন পার হয়ে আরো দশ মিনিট হাঁটলে ঝিরি পাবেন। হাটতে না চাইলে ঢাকা চট্রগ্রাম রোড থেকে সরাসরি ঝিরি পর্যন্ত আপনি সি.এন.জি নিয়েও (৫০-৬০টাকা লাগবে) যেতে পারবেন।
এবার এডভেঞ্চার শুরু, কারন এখান থেকেই আপনার খৈয়াছড়া ঝর্ণার মূল ট্র্যাকিং শুরু হয়ে যাবে। ঝিরি থেকে শেষ স্টেপ পর্যন্ত সোয়া দুই ঘন্টার মত সময় লাগবে আপনার।
তবে মনে রাখবেন বর্ষাকালে বৃষ্টি বা পাহাড়ি ঢল কিংবা হড়কা বান আপনাকে ভাসিয়ে নিতে পারে, ফলে সাথে রশি রাখবেন এবং সব সময় সাবধান থাকবেন। সাঁতার না জানলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট সাথে নিয়ে যাবেন।
মনে রাখবেন খৈয়াছড়া ঝর্ণা ট্র্যাকিং বাংলাদেশের অন্য ঝর্ণাগুলো থেকে একটু আলাদা। কারণ এই ঝর্ণা বেশ কিছু ধাপে প্রবাহিত হচ্ছে যা বাংলাদেশে অন্য কোন ঝর্ণার ক্ষেত্রে মিল এই। আপনি যদি একে হালকা ভাবে নেন তবে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা তো থাকছেই। ফলে সবসময় অবশ্যই সতর্কতার সাথে পা ফেলবেন।
সাথে অবশ্যই লবন নিয়ে যাবেন, কারণ প্রচুর জোক আছে। এবার আপনার সুবিধার জন্য জানান যাচ্ছে, বরতাকিয়াতেই নাজিম উদ্দিন নামে একজন গাইডের বাড়ি আছে, আপনি চাইলে এই গাইডকে সাথে নিয়ে সম্পূর্ণ ঝর্ণা চক্কর দিয়ে দেখতে পারবেন। যার মোবাইল নাম্বার – ০১৮১৭২৫৯৯১৩ ।
এখানে আপনার জন্য সুবিধা হচ্ছে আপনি চাইলে সালাম তালুকদারের সাথে আগেই যোগাযোগ করে, তার বিকাশের নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে বাজার করিয়ে রাখতে পারেন, কিংবা তার সাথে কথা বলে বরতাকিয়া বাজার থেকে বাজার করে তার বাড়িতে রান্না করে খেতে পারেন।
আগেই বলেছি রশি কিংবা দরি থাকলে উঠা কিংবা নামার ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন, খইয়াছড়ায় ঔঠার সময় দড়ি থাকলে নামতে এবং উঠতে অনেক সুবিধে হবে।
সাথে যা যা নিবেন, খুব ভালো হবে যদি আপনি সাথে করে কিছু শুকনা খাবার নিজের একালার দোকান থেকে কিংবা বরতাকিয়া বাজার থেকে কিনে নিয়ে ঝর্ণায় আসেন, অথবা আপনি যদি নিজেই রান্নায় পারদর্শী হয়ে থাকেন তবে ছোট স্টোভে রান্না করে খেতে পারেন।
অপ্রয়োজনীয় কোন কিছু সাথে নিবেন না। আর দেশী দর্শনীয় প্রাকৃতিক সব স্থানের বিষয়ে বিস্তারিত পেটে আমাদের সাথেই থাকুন।
This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ২১, ২০১৭ 10:27 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিনের বেলায় ঘুমানোকে আমরা ভাত ঘুম বলে থাকি। তবে দিনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডিপিএস এসটিএস সিনিয়র স্কুল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হয়েছে ডিপিএস এসটিএস স্কুল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক অ্যান্ড চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২৩- এর…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি দেশের জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রীর ছোটবেলার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছবিতে লুকিয়ে রয়েছে একটি কাঁচি। তবে এই কাঁচির প্রতিকৃতিটি এই…