দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই প্রশ্নটি হয়তো আপনার মনে আসতে পারে যে, বিশ্বের এই সব বড় বড় ধনীদের জীবনযাপন কেমন। তবে এই ক্ষেত্রে আপনাকে বলবো তাদের জীবন আসলেই বেশ সাদাসিধে কেননা তারা তাদের জীবনে সময়কে বিনিয়োগ করেছেন অর্থ এবং কাজের পেছনে। তবে চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক বিলিওনিয়ারদের মজার সব খরচ বাঁচানোর পন্থা।
দশ বছরে দুই জোড়া জুতো-মাইকেল ব্লুমবার্গ
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইনেন্স কর্পোরেশনের সবচেয়ে শেয়ারের মালিক হলেন মাইকেল ব্লুমবার্গ। আন্তর্জাতিক অনেক ক্ষেত্রেই তার এই প্রতিষ্ঠান ঋণের কারবার করে থাকে। তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ হলো ৩৪.৩ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু গত দশ বছরে তিনি ব্যবহার করেছেন মাত্র দুইজোড়া জুতা। তার কথা মতে জুতো তো শুধুমাত্র তাকে কাজের ক্ষেত্রেই আরাম দেয় এর বেশি কিছু নয়। তবে এতো বেশি জোড়া জুতো দিয়ে কি করবো।
বেশি বড় আকারের ঘরের দরকার নেই- ওয়ারেন বাফেট
মোট সম্পদের পরিমাণ ৬৬.১ বিলিয়ন ডলার, বিশ্বের তৃতীয় ধনী হলেন এই ওয়ারেন বাফেট। বসবাস করেন ৩১০০০ ডলারে কেনা একটি ছোট বাসভবনে। তার মতে বসবাসের জন্য যতটুকু জায়গা দরকার ঠিক ততটুকুই থাকলেই তো হলো। তার সম্পর্কে আরো মজার তথ্য হলো তিনি ব্র্যান্ডের কোন জিনিস ব্যবহার করেন না। বিল গেটসের সাথে একটি সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে তার কথাবার্তায় বিল গেটস এতোটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, ১ ঘন্টার অনুষ্ঠানটি শেষ হয় সাড়ে তিনঘন্টায়।
স্যান্ডেল পড়েই অফিস করেন-মার্ক জাকারবার্গ
মার্ক জাকারবার্গ একজোড়া স্যান্ডেল পড়েই অফিস করেন। এমনকি তিনি বিভিন্ন বড় কোম্পানীর সাথে মিটিং এর সময়েও সেই একজোড়া স্যান্ডেলই পরিহিত থাকেন। কিন্তু বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলার। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা বেশ সাদাসিধে জীবনযাপনের জন্য বিখ্যাত।
নিজের চুল নিজেই কাটি-ডেভিড চেরিটন
এই ভদ্রলোকটিকে আপনি হয়তো নাও চিনতে পারেন। ডেভিড চেরিটন হলেন গুগলের প্রথম বিনিয়োগকারী। বর্তমানে তার আর্থিক সম্পদের পরিমাণ ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বিভিন্ন স্টার্টআপ কোম্পানীতে বিনিয়োগ করেন। এই ভদ্রলোক নিজের চুল নিজেই কাটেন। নাপিতের কাছে গিয়ে অর্থ এবং সময় নষ্ট করতে তিনি রাজি নন।
সঞ্চয় করুন বেশি-বিল গেটস
বিশ্বের শীর্ষ ধনী বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৭৯ বিলিয়ন ডলার। তার মতে যখন থেকে আপনি আয় করতে শুরু করবেন তখন থেকে আপনি সঞ্চয় করুন। বিল গেটসের ব্যয় এর চেয়ে সঞ্চয়ের পরিমাণ এতোই বেশি যে, প্রতিবছর তার কর হিসাবের জন্য আলাদা করে একটি বিভাগ খুলতে হয়।