দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নাটোরের লালপুর উপজেলার নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের গুদামে ৮৫ কোটি ২৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকার চিনি অবিক্রীত রয়েছে। ফলে ব্যাপক অর্থ সংকটে পড়েছে চিনিকলটি। উৎপাদিত চিনি বিক্রি না হওয়ায় অর্থাভাবে আখচাষিদের পাওনা ৮ কোটি টাকা এবং চিনিকলের কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীদের দু’মাসের বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে পাওনা টাকার দাবিতে সোমবার সকালে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন কয়েকশ্থ আখচাষি।
জানা যায়, ২০১১-১২ আখ মাড়াই মৌসুমের ৭ হাজার ৮৭৬ টনসহ মোট ১৭ হাজার ৪৭ দশমিক ৭৫ টন চিনি সোমবার পর্যন্ত গুদামে মজুদ রয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিন ১৬০ টন চিনি উৎপাদন হচ্ছে। চিনি রাখার স্থান নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে অর্থ সংকটের কারণে আখ ক্রয় বাবদ চাষিদের পাওনা প্রায় ৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন আখ ক্রয় বাবদ চাষিদের পাওনা বাড়ছে ৪৭ লাখ টাকা করে। চিনিকলের কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীদের ডিসেম্বর ও জানুয়ারির বেতন-ভাতাও বকেয়া রয়েছে।
নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, দু’মাস ধরে বেতন না থাকায় শ্রমিক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের অনেকেই সুদ ব্যবসায়ীদের জালে আটকে পড়ছেন।
চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবর রহমান আখচাষিদের বিক্ষোভের কথা স্বীকার করে বলেন, ডিলাররা নিয়মিত চিনি উত্তোলন করছেন না। আবার স্থানীয়ভাবেও চিনি বিক্রি হচ্ছে না। মূলত চিনি বিক্রি না হওয়ার কারণেই চিনিকলটি অর্থ সংকটে পড়েছে।
স্থানীয় চিনি ব্যবসায়ীরা জানান, বিদেশ থেকে আমদানি করা চিনি ৪৫ এবং নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের চিনি ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে কম দামের বিদেশি চিনির কারণে মিলের চিনির চাহিদা নেই।