দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন খবর পড়ে যে কেও বিস্মিত হবেন। কিন্তু করার কিছু নেই। ঘটনাটি সত্যি। নতুন নিয়মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থী মাত্র ২ জন!
এবছর ঘোষণা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগে ভর্তির জন্য নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। শিক্ষার্থীকে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হতে হলে তাদেরকে ইলেকটিভ ইংরেজির উত্তর দেওয়ার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু ইলেকটিভ ইংরেজির উত্তর দিতে পারেনি মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৯৫ শতাংশ। আবার ইলেকটিভ ইংরেজির উত্তর দিয়েছেন যারা, তাদের মধ্যেও অনেকেই পাস করতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলেছে, এবছর মাত্র ২ জন শিক্ষার্থী ইংরেজিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। অথচ ইংরেজি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি জন্য আসন রয়েছে ১২৫টি। খবর বাংলাদেশ নিউজ২৪।
উদ্বেগ প্রকাশ করে ‘খ’ ইউনিটের ডিন অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবছর সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে ইংরেজি বিভাগে। ইংরেজি বিভাগে ভর্তির জন্য কোনো শিক্ষার্থীই পাওয়া যাচ্ছে না। উপাচার্যকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। বিকল্প কি করা যায় তা নিয়ে আমরা ভাবছি।’
সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়েছে, ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে অংশ ছিল ৫টি। এগুলো হল: সাধারণ ইংরেজি, বাংলা, ইলেক্টিভ ইংলিশ, সাধারণ জ্ঞান ‘এ’ এবং সাধারণ জ্ঞান ‘বি’। ৫টির মধ্যে শিক্ষার্থীদের ৪টি অংশ নিজেদের যোগ্যতাসাপেক্ষে নির্বাচন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রত্যেক বিষয়ে মোট ২৫টি প্রশ্নে ছিল ৩০ নম্বর। ১ ঘণ্টায় মোট ১২০ নম্বরের পরীক্ষা হয়েছিল। ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ছিল ৪৮। নিয়ম অনুয়ায়ী প্রত্যেক বিষয়ে নূন্যতম ৮ নম্বর পাওয়া লাগবে।
ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয় যে, ইংরেজি বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় পাসসহ সাধারণ ইংরেজিতে অবশ্যই ২০ নম্বর পেতে হবে। তবে ভর্তি পরীক্ষার মাত্র ৩ দিন আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর পরীক্ষায় উত্তরপত্রের বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইংরেজি বিভাগে ভর্তিচ্ছুকদের ইলেক্টিভ ইংলিশ অংশের উত্তর দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। ইংরেজি বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে সাধারণ ইংরেজিতে ২০ নম্বর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইলেক্টিভ ইংলিশে অবশ্যই ১৫ নম্বর পেতে হবে বলে ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
যেখানে ভর্তি নিয়ে এমনিতে নানা জটিলতা চলছে। আসনের তুলনায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এমনিতেই দুশ্চিন্তাগ্রস্থ তারপরও এবার নতুন নিয়ম করার কারণে এমন বিপর্যয় দেখা দেয়। অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন- এমনটিই জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে।