দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছেন এক শিক্ষীকা। তিনি বেত্রাঘাতে ১৯ ছাত্রী হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
তাও আবার পড়া-লেখার জন্য নয়, ওই শিক্ষক ছাত্রীদের পিটিয়েছেন বিদ্যালয়ের শৌচাগার পরিষ্কার না করার ‘অপরাধে’। শিক্ষকের বেত্রাঘাতে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে তাদের মধ্যে ১৯ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষার নীতিমালা উপেক্ষা করেেই রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর অন্তত ৩২ ছাত্রীকে বেধড়ক পেটায় ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক। গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের ২৪ নম্বর নতুন চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বর্বরতম ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষককে ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। বিকেলে শিক্ষা অফিস থেকে ওই প্রধান শিক্ষক আক্তার জাহান রিনাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস সুত্রে জানা যায়, ভর্তিকৃত ১৯ ছাত্রীর মধ্যে ৫ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, অন্যরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসব ছাত্রীদের শরীরে বেতের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুল হক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক শিক্ষার নীতিমালায় কোনো ছাত্র-ছাত্রীকে মারার বিধান নেই। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় অমনোযোগী হলে, শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে মনোযোগ ফেরানোর নির্দেশ রয়েছে। তিনি এ ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যায়িত করে বলেছেন, ‘বিকেলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তে এবং চিকিৎসকের প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পেলে তিনি চাকরিও হারাতে পারেন।’
ছবি ও তথ্য: কালের কণ্ঠের সৌজন্যে।