দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্কুলের শীর্ষ শিক্ষকদের সার্টিফিকেট ইন স্কুল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লিডারশিপ প্রোগ্রাম সম্পন্ন করার সুযোগ প্রদানে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির সাথে চুক্তিস্বাক্ষর করেছে হেইলিবেরি ভালুকা।
চুক্তির অধীনে হেইলিবেরির শিক্ষকরা পরিবর্তন, মানুষ ও বিদ্যালয় পরিচালনা কৌশল ও প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনের মতো নেতৃত্বের মৌলিক বিষয়ে বিশ্বমানের পেশাগত দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। এ প্রশিক্ষণটি আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে।
নেতৃস্থানীয় পর্যায়ের শিক্ষক ও ভবিষ্যতের সেরা শিক্ষকদের জন্য বেশ কিছু কোর্সের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে সার্টিফিকেট ইন স্কুল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লিডারশিপ (সিএসএমএল) প্রোগ্রাম। হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব এডুকেশন (এইচজিএসই) ও হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল (এইচবিএস) যৌথভাবে এই প্রোগ্রামটি তৈরি করেছে। এটি হাই- পারফরমেন্স লার্নিং এর সর্বোচ্চ অনুশীলনী নিশ্চিতে সহায়তা করবে।
এই ধরনের সুযোগের মধ্য দিয়েই এশিয়ার সেরা শিক্ষকরা তৈরি হবেন, এমন ধারণা ব্যক্ত করে হেইলিবেরি ভালুকার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক সাইমন ও’গ্রেডি বলেন, “হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির সাথে এই অংশীদারিত্ব আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। সিএসএমএল প্রোগ্রাম আমাদের শিক্ষক ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের উচ্চ পর্যায়ের বিষয়গুলো সমাধানের ক্ষেত্রে আরও দক্ষ করে তুলবে। আমরা শিক্ষাখাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে চাই এবং সবার মাঝে আমাদের দক্ষতার বিষয়গুলো ছড়িয়ে দিতে চাই। হেইলিবেরিতে সুদক্ষ নেতৃত্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত; কেননা, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে তাদের সর্বোচ্চ ভূমিকা থাকে।
উল্লেখ্য, বিশ্বুজুড়ে অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করা স্কুলগুলোর মধ্যে হেইলিবেরি অন্যতম – স্কুলটি দ্য সানডে টাইমসের সেরা স্কুলের তালিকায় পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে। হেইলিবেরি ভালুকা ( www.haileybury.com.bd ) শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা সুযোগ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org