দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ ১৮ বছর পরও এক সৈনিকের মরদেহ পাওয়া গেছে অবিকৃত অবস্থায়। ভারতশাসিত কাশ্মীরের সিয়াচেন হতে এই মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ভারতশাসিত কাশ্মীরের সিয়াচেন সীমান্তে এক সৈনিক পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন ১৮ বছর আগে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই সদস্য সেখান থেকেই নিখোঁজ হন, তিনি আর ফিরে আসেননি। তিনি জীবিত না মৃত তাও জনতো না তাঁর পরিবার, এমনকি সেনাবাহিনীও। সেই নিখোঁজ সৈনিকের মৃতদেহ ১৮ বছর পর সিয়াচেনেই পাওয়া গেল, তাও অবিকৃত অবস্থায়।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের অধিবাসী এই সেনাসদস্যের নাম অবশ্য প্রকাশ করা হয়নি। তিনি কোন পদে কর্মরত ছিলেন, তাও জানানো হয়নি। কেবল এতটুকু জানানো হয়েছে, ১৮ বছর আগে ১৯৯৬ সালের দিকে তিনি কর্মরত ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সবচেয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মস্থল কাশ্মীরের সিয়াচেনে। সেখানে টহলরত অবস্থায় উপর থেকে ভারি বরফখণ্ড পড়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতদেহের পকেটে থাকা একটি পরিচয়পত্র থেকেই তাঁর নাম-পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম বলেছে, সেনাসদস্যটির মৃতদেহ পাওয়া গেছে দুর্গম এক স্থানে। তুষারঝড় এবং অন্যান্য কারণে সন্ধান পাওয়ার পরও তার মরদেহটি আসতে কয়েক দিন সময় লাগবে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ‘সৈনিকটির মৃতদেহ নিচে নিয়ে আসার পর উত্তর প্রদেশে তাঁর গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবারের সঙ্গেও এবিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, প্রায় ১৮ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত সিয়াচেনকে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু যুদ্ধক্ষেত্র বলা হয়ে থাকে। কাশ্মীর সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই সিয়াচেনে প্রায়ই ভারতীয় এবং পাকিস্তানি সেনা দলের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। দুই সেনাবাহিনীতেই এই সিয়াচেন এক কঠিনতম কর্মক্ষেত্র হিসেবেই পরিচিত। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস