দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে হাসপাতালে আটকে রাখতে হয়, তিনি এবার নিজে থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি আর কেও নন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ. এম. এরশাদ। তিনি নাকি আগামী বছরের মার্চের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন!
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ. এম. এরশাদ বলেছেন, ‘আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের টার্গেট ১৫১ আসন পাওয়া। দেশের মানুষ দুই দলের কাছ থেকে মুক্তি পেতে চায়। আমরা আগামী নির্বাচনে ভালো করতে চাই।’ গতকাল শনিবার সকালে তিনি রংপুরের বাসভবন পল্লীনিবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেছেন।
এরশাদ আরও বলেন, ‘দেশের অবস্থা ভালো নয়, মানুষও ভালো নেই। সন্ত্রাস দুর্নীতি এবং দলীয়করণে দেশ ছেয়ে গেছে। এর বিপরীতে জনগণের কাছে প্রয়োজন এখন জাতীয় পার্টি। আমরা দলকে সংঘটিত করবো। আমরা রংপুরে মিলে-মিশে সবাইকে নিয়ে দলকে সংগঠিত করতে চাই। আমরা সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির কোনো জোরালো আন্দোলন নেই। তারা কথা বলে বলে শুধু সময় ক্ষেপণ করছে মাত্র। বিএনপির ওপর মানুষের কোনো আস্থা নেই।’
উল্লেখ্য, বৃহত্তর রংপুরেই বর্তমানে জাতীয় পার্টির নানা বিভক্তির কারণে বিবাদ লেগেই আছে। এরশাদের আগমনকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগেও এরশাদের বাড়ির সামনেই দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এলজিআরইডি প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা সমর্থিত গ্রুপটি অপর গ্রুপের সঙ্গে বিবাদে জড়াচ্ছে সব সময়। বিশেষ করে গত ১০ সেপ্টেম্বর এলজিআরইডি প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে প্রেসিডিয়াম পদ হতে অব্যাহতি দেওয়ার পর রংপুর জেলা এবং মহানগর কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই জেলা এবং মহানগর কমিটির সভাপতিও ছিলেন প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা। এরপর থেকেই মূলত উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষসহ রংপুরে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে আসছে।