দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইবোলা ভাইরাসের তাণ্ডবে যখন বিশ্বব্যাপি তোলপাড় অবস্থা ঠিক তখন ইবোলার মহৌষধ তার কাছে আছে বলে দাবি করলেন ভারতীয় পতঞ্জলির যোগগুরু বাবা রামদেব।
ইবোলা ভাইরাসের তাণ্ডবে যখন বিশ্বব্যাপি তোলপাড় অবস্থা ঠিক তখনই লাইম লাইটে চলে এলেন ভারতের বিতর্কিত এই যোগগুরু রামদেব। অথচ এই ইবোলা ভাইরাস নিয়ে ভারতেরও নিরুদ্বিগ্নতার শেষ নেই। এমন এক সময় ইবোলার মহৌষধ তার কাছে আছে বলে দাবি করেছেন বাবা রামদেব।
প্রথম ১৯৭৬ সালে ইবোলা ভাইরাস ধরা পড়লেও এখন পর্যন্ত এর কোনো কার্যকরি প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। সম্প্রতি চীনের ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়েছে একটি প্রতিশেধক। এই ইবোলার প্রতিষেধক এবার যাচ্ছে ইবোলা আক্রান্ত পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে৷ এই প্রতিশেধকের নাম JK-05 বলে জানিয়েছেন সিচুয়ান ফার্মাকিউটিক্যাল হোল্ডিং কোম্পানীর চিফ অপারেটিং অফিসার জিয়া জংজিং৷ অথচ এবার অবাক করার মতো কথা বলেছেন ভারতের বিতর্কিত এই যোগগুরু রামদেব৷ এই মহৌষধের কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন রামদেবের মুখপত্র এস কে তিজরওয়ালা৷
সম্প্রতি একটি হেলথ প্যাকের বিজ্ঞাপনেও তিনি দাবি করেছেন যে, তার কাছে ইবোলার ওষুধ রয়েছে। এই বিজ্ঞাপনটিতে বলা হয়েছে যে, লতা-গুল্মের মধ্যেই ইবোলাকে ঠেকানোর ক্ষমতা লুকিয়ে রয়েছে। গত মঙ্গলবার রামদেবের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পেজেও এই একই দাবি করা হয়৷ মন, আত্মা এবং শারীরিক সক্ষমতাই এইডস-ইবোলার মতো কঠিন রোগ হতে মানুষকে মুক্তি দিতে পারে- এমনই দাবি করেছেন পতঞ্জলির যোগগুরুর মুখপত্র এস কে তিজরওয়ালা৷
তবে ভারতীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ইবোলার বিরুদ্ধে এই ধরনের লতা-গুল্মের প্রতিষেধকের কোনো প্রমাণ এখনও নেই। তবে এখনও রামদেবের ইবোলা প্রতিষেধক আবিষ্কার নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি মন্ত্রী বা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা৷
উল্লেখ্য, ইবোলা ভাইরাস পশ্চিম আফ্রিকায় মহামারীর আকার ধারণ করেছে। এখন পর্যন্ত ইবোলা ভাইরাসে পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া ও গিনিতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’-র দেওয়া রিপোর্টে উঠে এসেছে ভয়ংকর তথ্য। যাতে বলা হয়েছে আগামী দু’মাসে প্রতি সপ্তাহে আসতে পারে নতুন আরও ১০ হাজার ইবোলা আক্রান্ত৷