দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চলচ্চিত্র জগতে আসতে না আসতেই ব্যাপক জনপ্রিয় অভিনেত্রীতে পরিণত হয়েছেন পরীমনি। আর তাই এবার তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘মহুয়া সুন্দরী’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছেন।
চলচ্চিত্র জগতে এসে খুব কম সময়ে জায়গা করে নিয়েছেন পরীমনি। তিনি ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তবে তার প্রথম অভিনিত ছবি ‘রানা প্লাজা’র কাহিনী নিয়ে নির্মিত ছবিটি সেন্সরে আটকে আছে নামের কারণে। এবার তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছেন। এটি গ্রাম-বাংলার কাহিনী নিয়ে নির্মিত। ছবিটিতে রয়েছে লোকসংগীত, পালা গান ও ফোক গান।
কাহিনী এমন: পরীমনি যাত্রা দলের এক কর্মী। অভিনয় নৈপুন্যতা দেখিয়ে গ্রামের দর্শকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। যাত্রা দলের এই ‘মহুয়া’ চরিত্রে অভিনয় করছেন পরীমনি। যাত্রা দেখতে আসেন গ্রামের এক যুবক তার নাম সুমিত। তিনিও নিজেকে এক সময় মহুয়ার প্রেমিক জমিদার বাবু ভাবতে শুরু করেন। এরপর শুরু হয় দুটো অবুঝ মনের প্রেম কাহিনী। এভাবেই এগিয়ে যায় ‘মহুয়া সুন্দরী’ ছবিটির গল্প। এই ছবিটিকে পরীমনি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন। এই চলচ্চিত্রের পুরো গল্পের বড় একটা অংশ জুড়ে রয়েছে লোকসংগীত, পালা গান এবং ফোক গানসহ মোট ৮টি গান।
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘মহুয়া সুন্দরী’ ছবিটি পরিচালনা করছেন রওশন আরা নিপা। ‘ময়মনসিংহ গীতিকা’র কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত এই ‘মহুয়া সুন্দরী’ চলচ্চিত্রের নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন পরীমনি। এই ছবিতে পরীর সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়েছেন চিত্রনায়ক সুমিত। ঢাকার নবাবগঞ্জ ও গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ছবির শুটিং হবে। বর্তমানে হোতাপাড়ায় চলচ্চিত্রটির দৃশ্যায়ন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ‘মহুয়া সুন্দরী’ চলচ্চিত্রে সংগীতায়োজন করছেন অমিত ও ইমন সাহা। ময়মনসিংহ গীতিকার ‘মহুয়া সুন্দরী’কে নিয়ে পূর্বে ১৯৬৬ সালে আলী মনসুর নির্মাণ করেছিলেন ‘মহুয়া’ নামে অপর একটি চলচ্চিত্র। ‘মহুয়া সুন্দরী’ নামে আরও একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন ১৯৮৬ সালে শামসুদ্দিন টগর।
নতুন করে নির্মিত এই ‘মহুয়া সুন্দরী’ দেশের বর্তমান প্রজন্মকে জাগিয়ে তুলবে- এমনটিই আশা করছেন এই চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।