দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হকের বিয়ে। হনুফা আক্তার রিক্তার সঙ্গে চির বন্ধনে আবদ্ধ হলে তিনি। তাঁদের বিয়ের কিছু ছবি দেখুন।
অবশেষে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বিয়ে করলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। সুদীর্ঘকালের একাকিত্ব জীবনে তাঁর চিরসঙ্গী হলেন হনুফা আক্তার রিক্তা। ৬৭ বছর বয়সী মন্ত্রীর জীবনের সুখ-দুঃখের ভাগীদার হলেন হনুফা আক্তার রিক্তা। অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় এই বিয়ে। তবে বৌভাতের অনুষ্ঠান হবে ৬ নভেম্বর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের নিজ বাড়িতে। অপর দিকে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা হবে ঢাকায় ১৪ নভেম্বর।
গেটে শ্যালিকাদের বরাদ্দ ১ লাখ ১ টাকা
অন্যসব বিয়ের মতোই রেলমন্ত্রীর বিয়েতেও ঘটেছে। যেমন বিয়েতে গেট ধরা হয়। রেলমন্ত্রীর বিয়েতেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। বিকেল পোনে ৩টার দিকে প্রায় ৭শ’ বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে পৌঁছান বর রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে আগেভাগেই প্রস্তুত ছিল কনে পক্ষের লোকজন। এ সময় মন্ত্রী জামাইয়ের কয়েকজন শ্যালিকা গেটে বরকে স্বাগত জানান। কিন্তু সেই নিয়ম অনুযায়ী গেট ধরেছেন শ্যালিকারা। অগত্যা গেটের অপর প্রান্তে পৌঁছাতে শ্যালিকার দলের দাবিকৃত ১ লাখ ১ টাকা দিতে হয়েছে।
দেনমোহর ৫ লাখ ১ টাকা নগদে পরিশোধ
নিয়ম অনুযায়ী কনের বাড়িতে প্রবেশের পরই বিয়ে সম্পন্ন হয়। ৩.১৭ মিনিটে কাবিননামায় সই করেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এবং কনে হনুফা আক্তার রিক্তা। বিয়ের দেনমোহর ৫ লাখ ১ টাকা। মন্ত্রী মুজিবুল হক দেনমোহর বিয়ের আসরেই তা পরিশোধ করেন।
বিয়েতে আপ্যায়ন
বিয়ের পরই খাবারের পর্ব শুরু হয়। বর পক্ষের ৭শ’ এবং কনেপক্ষের সব মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজারের কম হবে না। খাবারের তালিকায় ছিল খাসির কাচ্চি, মুরগির রোস্ট, কোমল পানীয়, জর্দা, মিস্টান্ন এবং বোরহানী। মন্ত্রী জামাইয়ের জন্য ছিল নিয়ম অনুযায়ী আস্ত একটি খাসির রোস্ট। বিশাল আকারের একটি ডিসে জামাইয়ের খাবার পরিবেশন করা হয়। চারপাশে ছিল ১০টি ইলিশ মাছ, ১০টি আস্ত মুরগির রোস্ট ও এর মাঝে ছিল ১৬ কেজি ওজনের খাসির রোস্ট। সঙ্গে ছিল নানান পদের খাবার এবং মিষ্টি। জানা যায়, এলাকার নামকরা বাবুর্চি কুমিল্রা ক্লাবের মিল্টন রোজারিও তৈরি করেছেন বরের এসব খাবারের আইটেম।
বৌভাত ৬ নভেম্বর
বিয়ের পর বউ নিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন মুজিবুল হক। তবে নতুন বউ নিয়ে ৫ নভেম্বর কুমিল্রার চৌদ্দগ্রামে নিজ বাড়িতে যাবেন তিনি। ৬ নভেম্বর সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে বৌভাত। আত্মীয়স্বজন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনকে ইতিমধ্যেই দাওয়াত করা হয়েছে। আর ঢাকায় ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনের ২ নং এলডি হলে অনুষ্ঠিত হবে এক বিবাহোত্তর সংবর্ধনা। বউভাতে মন্ত্রী-এমপিসহ সাড়ে ৩ হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং রাজনৈতিক দলের নেতারা অনুষ্ঠানে শরিক হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এখন দেখুন বিয়ের কিছু মুহূর্ত:
দেখুন বিয়ের ভিডিও
http://www.youtube.com/watch?v=k2xCixOOufs