দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত মুভির বাজেট দু ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো প্রডাকশন বাজেট আর অপরটি প্রমোশনাল বাজেট। এই দুইটি মিলিয়েই হয়ে থাকে এই মুভির নিট বাজেট। কিন্তু এই মুভির নির্মাণব্যয় বললে শুধু প্রডাকশন বাজেটই ধরা হয়ে থাকে। সেই হিসেবে সবচেয়ে ব্যয়বহুল দশটি ছবির কথা এখানে তুলে ধরা হলো।
১. পাইরেটস অব দি ক্যারিবিয়ানঃ অ্যাট ওয়ার্ল্ড এন্ড
এই মুভি নির্মানে খরচ হয়েছে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বা ২৩৪০ কোটি টাকা। বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর মূল বাজেটের কাছকাছি। এতো নির্মান ব্যয়ের এই ছবিটি আয় করেছে কত? তা নিশ্চয়ই আপনার জানতে ইচ্ছে করবে। এর আয় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২. ট্যাঞ্জেল্ড
অ্যানিমেশন এই ছবিটি নির্মানে ব্যয় হয়েছে ২৬০ মিলিয়ন ডলার বা ২০২৮ কোটি টাকা। এটি হলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল অ্যানিমেশন মুভি। কিন্তু এতো বেশি বাজেটের এই অ্যানিমেশন মুভিটি বক্স অফিসে তত লাভ করতে পারেনি। আয় করেছে ৬০০ মিলিয়ন ডলার।
৩. স্পাইডারম্যান থ্রি
২৫৮ মিলিয়ন ডলার বা ২০১০ কোটি টাকার এই ছবি সুপারহিরোদের নিয়ে তৈরি মার্ভেল কমিক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবি। বক্স অফিসেও ছিল এর তুমুল জয়জয়কার। সেই সময় এটি সারাবিশ্বে আয় করে ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৪. হ্যারি পটার এন্ড দি হাফ ব্লাড প্রিন্স
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রজেক্ট এবং সবচেয়ে লাভজনক প্রজেক্ট। এই মুভিটি নির্মানে ব্যয় হয় ২৫০ মিলিয়ন ডলার বা ২০০০ কোটি টাকা। মুভি মুক্তির পাঁচদিনের মাথায় আয় করে ৪০০ মিলিয়ন ডলার। হ্যারি পটার সিরিজের ছয় নাম্বার এই মুভিটির মোট আয় ৯৪০ মিলিয়ন ডলার।
৫. জন কার্টার
২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া জন কার্টার ডিজনির একটি ফ্লপ মুভি। আর এই ছবির ফ্লপ ডিজনীকে একেবারে পথে বসিয়ে দেয়। এই ছবির নির্মান ব্যয় ২৫০ মিলিয়ন ডলার। এটি আয় করে ২৮০ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ মূল বাজেট থেকে মাত্র ৩০ মিলিয়ন বেশি। এই ছবির ফ্লপের কারণে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয় ডিজনীকে পরবর্তিতে পিক্সার ডিজনীকে কিনে দেউলিয়া থেকে রক্ষা করে।
৬. দি ডার্ক নাইট রাইজেস
ডিসি কমিক্সের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি। এই ছবিটির আয় মার্ভেল আর ডিসি কমিক্সের যুদ্ধে ডিসিকে জিতিয়ে দেয় আরেকবার। এই ছবিতে ব্যয় হয় ২৩০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা। আর এই মুভি আয় করে ১.২ বিলিয়ন ডলার।
৭. অ্যাভাটার
হলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি হলো টাইটানিক খ্যাত জেমস ক্যামেরনের অ্যাভাটার। এই ছবির পোস্ট প্রডাকশন ব্যয়ই ছিল ১৩৭ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এই মুভির প্লাটফর্ম নির্মান, অ্যানিমেটেড ক্যারেক্টার ডিজাইন, অ্যানিমেশন সফটওয়্যার নির্মানে ব্যয় হয় মোট ৭ বছর। প্রডাকশন ব্যয় ২৩৭ মিলিয়ন ডলার। তিনবছর ধরে চলে এর শুটিং আর এডিটিং আরো ১ বছর লাগে অ্যানিমেশন রেন্ডারিং করতে। টোটাল বাজেট হলো ৪০০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ৪০০০ কোটি টাকা। আলোচিত পদ্মা সেতু নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৫০ কোটি টাকা। এবার আসা যাক এই ছবির আয়। এটি আয় করে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় তা নিজেই হিসেব করে নিন না!