দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের মানুষ বিদ্যুৎ বিহীনভাবে স্মরণকালের এক দু:সহ জীবন অতিবাহিত করেছে। কারণ বিদ্যুৎ না থাকলে পানি থাকে না। আর পানি না খাকলে মানুষের জীবন কতটা দু:সহ হতে পারে তা বাংলাদেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছেন।
ভারত হতে বিদ্যুৎ আমদানীর ৫০০ মেগাওয়াট হাই ভোল্টেজ ব্যাক টু ব্যাক ভেড়ামারাস্থ সাব-ষ্টেশন বিকল হয়ে পড়ার কারণে গতকাল শনিবার সকাল ১১টা ২৭ মিনিট ২৮ সেকেন্ড’র সময় হঠাৎ করেই ভেড়ামারাস্থ সাব ষ্টেশনে কারিগরি ক্রটি দেখা দেয়। যে কারণে সারাদেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়। এই সময় বিকট শব্দে বিদ্যুৎ আমদানী বন্ধ হওয়া ছাড়াও জাতীয় গ্রিড সম্পূর্ণ বিছিন্ন হয়ে যায়। এই সময় সারাদেশে উৎপাদনে থাকা সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রও একযোগে বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে ধ্বস নামে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। জাতীয় গ্রীড লাইন ফেল করে সারাদেশে দেখা দেয় চরম এক বিদ্যুৎ বিপর্যয়। এমন বিপর্যয় মানুষ আর দেখেনি।
এদিকে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে গতকাল বিকেল থেকে রাজধানীতে পানির জন্য হাহাকার নেমে আসে। মানুষ দিক-বিদিক ছুটতে থাকে। গতকাল মিল-কলকারখানার উৎপাদন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। হাজার হাজার কোটি টাকার লোকসান গুণতে হবে এসব প্রতিষ্ঠানকে।
চরম দুর্ভোগের মধ্যে অতিবাহিত মানুষের জীবন যাত্রা। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে বেশ কিছু স্থানে টেলিফোন সংযোগও অচল হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে মোবাইলে চার্জ না থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় নেমে আসে অচলাবস্থা। অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ।
বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে জাতীয় গ্রীডে ত্রুটির কথা স্বীকার করে বলা হয় ১/২ ঘণ্টার মধ্যে সব স্বাভাবিক হবে কিন্তু স্বাভাবিক হতে হতে সময় লাগে মধ্যরাত। সন্ধ্যার পর কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সরবরাহ দেওয়া হয়। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ দেখা গেছে। অপর দিকে রাত সাড়ে ৯টার পর ধানমন্ডি, মহাখালী এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হয়। তেজগাঁও রাত ১০টায় বিদ্যুৎ এলেও আরও ২ বার লোড শেডিং করা হয়েছে। মিরপুর, ভাষাণটেকসহ অন্যান্য কিছু এলাকায় রাত পোনে ১টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তবে এই এলাকায় টানা বিদ্যুৎ সরবরাহ রয়েছে।