দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মোবাইল ফোনে কলচার্জ প্রতি মিনিটে ২৫ পয়সা করাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট। গতকাল শনিবার ৯ মার্চ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ল্যান্ডফোনে বর্ধিত লাইন রেন্ট বাতিল, মাসিক রেন্ট ২৫ টাকা ও সকল মোবাইল ফোনে কলরেট ২৫ পয়সা ও প্রতি সেকেন্ড পাল্স করতে হবে।’ মানববন্ধনে বক্তারা লিখিতভাবে নিন্মোক্ত দাবি পেশ করেন।
দাবিগুলো হল ঃ
# বিটিসিএল এবং ল্যান্ড ফোনের মাসিক লাইন রেন্ট ২৫ টাকা, প্রতি ৫ মিনিটে ১ ইউনিট এবং ইউনিট প্রতি কলচার্জ ৫০ পয়সা করতে হবে।
# এক দেশে এক কলরেট নীতিতে সব মোবাইল ফোন কোম্পানির মিনিট প্রতি কলচার্জ ২৫ পয়সা করতে হবে এবং পিক আওয়ারে টক টাইমের ওপর বোনাস কলের সুযোগ দিতে হবে।
# ভিওআইপির চোরাই ব্যবসা করে যারা জরিমানা দিয়েছেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করে উন্নত গ্রাহক সেবা নিশ্চিতকরণ সাশ্রয়ী মূল্যে কথা বলাসহ স্বচ্ছতার সঙ্গে আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে নতুন মোবাইল অপারেটরকে ন্যায্য বাণিজ্যের সুযোগ দিতে হবে।
# টেলিনরের লোগো বাতিল করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের দিন যে লোগো দেয়া হয়েছে তা পুনঃস্থাপন করে হবে। মোবাইল ফোন সেক্টর থেকে পদ্মাসেতুর অর্থ সংগ্রহ করতে হলে প্রতি মিনিট কলচার্জ ২৫ পয়সা এবং পদ্মা সেতুর সারচার্জ ২৫ পয়সাসহ সবমোর্ট ৫০ পয়সা করুন।
# নানা প্রকার ধোঁকাবাজি, প্রতারণাসহ নানা প্রকার সুবিধা প্রদানের নামে প্রচারিত ট্রিকি (ধোকাবাজি) বিজ্ঞাপন বাতিল ও আমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযোদ্ধা এবং ভাষা আন্দোলনের ভাবগাম্ভীর্যতাকে ব্যবহারপূর্বক বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে হবে।
# ভিওআইপির চোরাই ব্যবহারকারী যে সব মোবাইল ফোন অপারেটর বিপুল অঙ্কের অর্থ লুট ও পাচার করেছে তাদের লুণ্ঠিত ও পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনাসহ লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইনিশিয়েটিভ ফর পিসের প্রধান সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আরিফুর রহমান, চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, পানি বিজ্ঞানী প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক প্রমুখ।
এদিকে মোবাইলের কল রেট নিয়ে সামপ্রতিক সময় এক ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রতিটি কোম্পানি কোন না কোন ভাবে গ্রাহকদের প্রতারিত করছে। বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে এক রকম আর বাস্তবে গিয়ে দেখা যাচ্ছে অনেক রকম শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপনের নিচে খুব ছোট করে ‘শর্ত প্রযোয্য’ কথা লিখে কি এই ধোকাবাজির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়? সাধারণ গ্রাহকদের কাছে আজ এ প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।