দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২২ বছরের এ তরুণের শরীর আটকে আছে ৩ ফুট লম্বা শিশুর শরীরে। হরমোন সমস্যার কারণে শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ায় ভারতের আজাত সিং হয়তো বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র শিক্ষক।
ভারতের হরিয়ানাতে তার বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আকারও তাদের চেয়ে বড়। শিক্ষক হলেও ছাত্রীরা সবাই তাকে ছোটু বলেই ডাকে। আজাদ প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার শিখিয়ে ১০ হাজার রুপি আয় করেন। তবে ছোটু বলার ব্যাপারে আজাদ সিং বলেছেন, এ ব্যাপারে তিনি মনে কিছু করেন না। কারণ, তিনি যা চেয়েছিলেন সেটা অর্জন করেছেন। তিনি বলেন, আমি কর্মজীবী হওয়ায় লোকজন এখন আমাকে সম্মান করেন। পাঁচ বছর বয়স থেকেই তার বৃদ্ধি ব্যাহত হলেও গরিব বাবা-মা তাকে হরমোন ইনজেকশন দিতে পারেননি। স্কুলে তাকে সবাই জ্বালাতন করতো। সবাই বলতো, সার্কাসের লোকজন তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে। তাই ভয়ে সে স্কুলে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল। মানুষের উত্ত্যক্ত করার কারণে তাকে সাফল্য পেতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে বলে আজাদ সিং উল্লেখ করেছেন। (সৌজন্যে : দৈনিক মানবজমিন)