দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ হত্যার বিচারকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। নিউইয়র্ক হতে সিয়াটল পর্যন্ত এই বিক্ষোভের অধিকাংশই শান্তিপূর্ণ রয়েছে।
কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ মাইকেল ব্রাউন হত্যার বিচারকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউইয়র্ক হতে সিয়াটল পর্যন্ত এই বিক্ষোভের অধিকাংশই শান্তিপূর্ণ রয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড বহন করে, ধরনের স্লোগান দেন। সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, এই বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল হলো মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ফার্গুসন শহরতলি। সেখানেও চলছে বিক্ষোভ।
সহিংস বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে শহরতলি এবং এর আশপাশে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। গতকাল রাতে ফার্গুসনে ৬১ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর জে নিক্সন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, সহিংসতা বন্ধে গতকাল মঙ্গলবার ফার্গুসনের কাছে ন্যাশনাল গার্ডের প্রায় আড়াই হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ফার্গুসনে থাকবেন কয়েকশ’ সদস্য।
অপরদিকে ফার্গুসন ছাড়াও অন্যান্য স্থানেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। নিউইয়র্কে বিক্ষোভকারীরা অল্প সময়ের জন্য ব্রুকলিন সেতু বন্ধ করে দেয়। যে কারণে অন্যান্য সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। আটলান্টা, বোস্টন, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ আরও বেশ কিছু শহরেও বিক্ষোভ হচ্ছে।
জানা যায়, এই হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সদস্য উইলসনকে অভিযুক্ত করা হবে কি-না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দেওয়া হয় স্থানীয় সেন্ট লুইস কাউন্টির গ্র্যান্ড জুরির ওপর। গ্র্যান্ড জুরি তাঁদের সিদ্ধান্তে জানান, উইলসন আত্মরক্ষার্থে গুলি করেছেন। আর তাই তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়নি। এই সিদ্ধান্ত আসার পর আবার নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাইকেল ব্রাউনকে গুলি করে হত্যাকারী পুলিশের শ্বেতাঙ্গ সদস্য ড্যারেন উইলসনকে অভিযুক্ত না করার সিদ্ধান্তে স্থানীয় সময় গত সোমবার রাতে ফার্গুসনে ব্যাপকভাবে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। গত ৯ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন মাইকেল ব্রাউন। নিরস্ত্র ব্রাউনকে অহেতুক গুলি করে হত্যার অভিযোগে তখন থেকেই শুরু হয় প্রতিবাদ। পরে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।