দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পরমাণু বিদ্যুতের নতুন মডেল উদ্ভাবন করলো ঢাবির পরমাণু প্রকৌশল বিভাগ। নতুন এই কৌশল উদ্ভাবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু প্রকৌশল বিভাগকে সম্মাননা দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের অভিনব মডেল উদ্ভাবন করলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু প্রকৌশল বিভাগ। আর এই নতুন উদ্ভাবনের স্বীকৃতি স্বরূপ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু প্রকৌশল বিভাগকে সম্মাননা দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু প্রকৌশল (নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, উদ্ভাবিত নতুন এই মডেলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হলে পারমাণবিক বিক্রিয়াজনিত ঝুঁকি দূর হবে।
ড. মো: শফিকুল ইসলাম আরও জানন, নতুন কৌশল প্রয়োগ করে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মিত হলে কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার এবং ঝুঁকিমুক্ত হবে। ২৫০০ মেট্রিক টন কয়লা পুড়িয়ে যে পরিমাণ তাপশক্তি পাওয়া যায়, তা মাত্র এক কেজি ‘ইউ-২৩৫ নিউক্লিয়াসের’ একীভবন (ফিউশন) এবং বিক্রিয়া হতে পাওয়া সম্ভব হবে।
জানানো হয়েছে, ‘প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২২শ’ মিটার গতিসম্পন্ন তাপীয় নিউট্রন দিয়ে ইউ-২৩৫ নিউক্লিয়াসকে আঘাত করলে এই মডেলে প্রায় সমান ভর বিশিষ্ট দুটি নিউক্লিয়াসে বিভক্ত হয়ে যায় ও ২/৩টি মুক্ত নিউট্রন তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন দুটি নিউক্লিয়াস এবং মুক্ত নিউট্রনগুলোর মোট ভর, বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী নিউট্রন ইউ-২৩৫ নিউক্লিয়াসের মোট ভর অপেক্ষা কিছুটা কম হয়। এরফলে প্রতিটি ফিউশনে প্রায় ২শ’ এমইভি (মেগা ইলেক্ট্রনিক ভল্ট) তাপশক্তি উৎপন্ন হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মো: শফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু প্রকৌশলের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অপর এক শিক্ষক ও ৪ শিক্ষার্থী যৌথভাবে নতুন এই কৌশল বিশিষ্ট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মডেলটি উদ্ভাবন করেন। দেশের পারমাণবিক গবেষণায় এটি একটি বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছে।