দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অল্প খরচে বাংলাদেশী শ্রমিক নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে কাতার। নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে দেশটিতে প্রচুর কর্মী চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছে কাতার।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে বাংলাদেশী শ্রমিক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে কাতার। নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে দেশটিতে প্রচুর কর্মী চাহিদা রয়েছে।
জানা যায়, ২০২২ সালে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রমে ব্যাপক কর্মীর চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশের শ্রমিকদের কর্মদক্ষতার কথা বিবেচনায় রেখে কাতার এই আগ্রহের কথা জানিয়েছে।
১১ ডিসেম্বর প্রবাসী কল্যাণ ভবনে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহের কথা জানিয়েছেন ঢাকাস্থ কাতারের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আব্দুল আজিজ আল মানা। এসময় তাঁরা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আব্দুল আজিজ আল মানা বলেন, আগামী ২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কাজে আমাদের ব্যাপক কর্মীর চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। এই চাহিদা পূরণ করা হবে বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার মাধ্যমে।
এ কারণে প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশের কর্মীগণ এই সুযোগ নিতে পারবে বলে তিনি জানান। এছাড়াও তিনি অন্যান্য খাতেও কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার প্রদানের আশ্বাসও দেন তিনি। স্বল্প অভিবাসন ব্যয়েই এসব শ্রমিক নেওয়া হবে বলে হবে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আব্দুল আজিজ আল মানা।
আবদুল্লাহ আব্দুল আজিজ আল মানা বলেন, কাতারে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীরা দক্ষতায় অন্যান্য দেশের কর্মীদের তুলনায় অনেক বেশি দক্ষ। এজন্য তিনি বাংলাদেশী কর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, কোনো কর্মী যেনো দালালের হাতে আর্থিকভাবে প্রতারিত না হয় সে বিষয়ে সরকারকে কঠোরভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এ সময় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের ২২ লাখ রেজিস্ট্রেশনকৃত কর্মীর ডাটা ব্যাংকে রয়েছে। সে ডাটা ব্যাংক হতে আমরা যে কোনো সংখ্যক কর্মী সরবরাহ করতে পারবো। এই পদ্ধতিতে কোনো আদম ব্যবসায়ীর প্রবেশের সুযোগ থাকবে না।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কাতারে ২ লাখেরও বেশি বাংলাদেশী কর্মী কর্মরত রয়েছে। এরা সবাই দক্ষতার সঙ্গে তাদের কাজ করছেন বলে সুনাম রয়েছে।