দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বহু রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতির মহান বিজয় সূচিত হয়। জাতি আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করছে।
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ডাকের মধ্যে দিয়ে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ই ডিসেম্বর তার পরিসমাপ্তি ঘটে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী সেদিন পরাজয় স্বীকার করে বাঙালিদের কাছে। আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়। বাঙালি জাতি বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেয়। সেদিন থেকেই এই বাংলায় উড়তে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা। ৪৩ বছর আগের এদিনে বর্বর হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী হাতের অস্ত্র ফেলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিল বিজয়ী বীর বাঙালিদের সামনে। পাকিস্তানী বাহিনীর লিডার সেদিন স্বাক্ষর করেছিল পরাজয়ের সনদে। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন এক রাষ্ট্র যার নাম বাংলাদেশ।
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বহু মা-বোন সম্ভ্রম হারান। বহু যোদ্ধা প্রাণ উৎসর্গ করেন। বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই মহান বিজয় দিবসে সকল শহীদদের আমরা জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
আজ বাঙালি জাতির জন্য একটি মহান বিজয়ের দিন। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।
ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। এরপর ভোর হতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হবে। প্রথমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং পরে সর্বসাধারণ তাদের শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করবেন। মহান বিজয় দিসব উপলক্ষে সভা-সমাবেশ, আলোচনা সভা, সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়। জেলখানাগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়।