দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তালেবানদের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে মৃত্যুদণ্ডের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। যে কারণে সন্ত্রাসী অপরাধে পাকিস্তানে দু’জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
পাকিস্তানের পেশোয়ারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ তুলে নিয়েছেন সন্ত্রাসের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের উপরে স্থগিতাদেশ। স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পর সন্ত্রাসের অপরাধে ফয়জলাবাদে দুই অপরাধীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। পেশোয়ারে হামলার পরে সন্ত্রাসের প্রশ্নে কড়া হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। শুক্রবার রাতে ডাক্তার উসমান এবং আরশাদ মেহমুদ নামে দুই অপরাধীর ফাঁসি হলো। সন্ত্রাস দমন প্রশ্নে পাকিস্তান যে সক্রিয়, এই ফাঁসি কার্যকরের পর সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে পাক সেনাদের সদর দফতর রাওয়ালপিন্ডিতে হামলা চালায় সেনা জওয়ান উসমান। ওই হামলার সময় আহত অবস্থায় ধরা পড়ে সে। ওই হামলায় ১০ সেনা জওয়ান প্রাণ হারান। ৫ মাস ধরে সামরিক আদালতে উসমানের বিচার চলে। ২০১১ সালে তার মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু স্থগিতাদেশের কারণে এতোদিন রায় কার্যকর করা যায়নি। অপরদিকে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফকে হত্যা চেষ্টায় আরশাদ মেহমুদ ধরা পড়ে। ২০০৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর আল কায়দার জঙ্গিরা মুশাররফের কনভয়ের ওপর মোটরসাইকেল নিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায়। ওই হামলায় ১৫ জনের প্রাণ যায়। অবশ্য মুশাররফ বেঁচে যান। এই মেহমুদ পাক সেনা ট্রুপার। দু’জনেরই ফয়জলাবাদের জেলে ফাঁসি হয়েছে।