দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক কঠিন অবস্থা পার করছে দেশ। অবরোধ-হরতাল জীবন-যাত্রা অচল। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ আর কতদিন পার করবে সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।
২০১১, ২০১২ ও ২০১৩ সাল তিন বছরে বহু আন্দোলন হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে হরতাল-অবরোধে দেশ এক মহা অচলাবস্থায় পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আবার সবকিছু থেমে যায়। সব আবার স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকে। কিন্তু এক বছরের মাথায় ৫ জানুয়ারি সরকারি দল ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনের উদ্যোগ নিয়ে সমস্যা এক প্রকট আকার ধারণ করে।
২০ দলকে সমাবেশ করতে না দেওয়ায় পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়। আর তারই ধারাবাহিকতায় শুরু হয়েছে লাগাতার অবরোধ। শুধু অবরোধ নয়, দেশের কোনো না কোনো জেলায় প্রায় প্রত্যাহ হচ্ছে হরতাল। আজও রয়েছে ঢাকার ৫টি উপজেলাসহ ১৪টি জেলায় হরতাল।
এই অবস্থার কারণে গত এক সপ্তাহে দেশের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়েছে। রাজধানীর সঙ্গে অন্যান্য জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। যদিও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তথাপিও দেশে বর্তমানে বিরাজ করছে এক অস্থিতিশীল অবস্থা।
এখন জনগণের একটায় প্রত্যাশা- আর তা হলো, এই অচলাবস্থার অবসান। সবকিছু আবার আগের মতো করা। মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে চাই। রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল বা কোনো মতাদর্শের বিভেদের বলি জনগণ কেনো হবে? সে প্রশ্ন এখন জনগণের।