দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা যারা গ্রামে বড় হয়েছি, তাদের অনেকের এই অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেটি হলো কুসংস্কার। নানা ধরনের কুসংস্কার গ্রামের মানুষরা বেশি বিশ্বাস করে। যদিও এখন আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে এগুলো উঠে গেছে। আজ জেনে নিন বিভিন্ন দেশের নানা কুসংস্কার সম্পর্কে!
এই কুসংস্কার বা অন্ধবিশ্বাস চলে আসছে পৃথিবীর জন্মলগ্ন হতেই। এই কুসংস্কার এক একরকম হয়ে থাকে। কুসংস্কার হলো সাধারণত অপবিজ্ঞানের অপর নাম। এই কুসংস্কার দ্বারা মানুষকে খুব সহজেই বিভ্রান্ত করা সম্ভব। সমাজের নানা স্তরের মানুষের মধ্যে নানা ধরনের কুসংস্কার রয়েছে। তবে এসব কুসংস্কারের কোনটি ভালো কোনটি মন্দ তা বোঝা মুশকিল। একজনের কাছে ভালো হলেও অপরজনের কাছে মন্দ হতে পারে। আবার এর উল্টোটাও হতে পারে।
জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বিশ্বজুড়ে হাজারও কুসংস্কার বিদ্যমান। এমনই কিছু কুসংস্কার হলো:
লেটুস পাতা: লেটুস পাতা খাওয়া অত্যন্ত উপকারী তা আমাদের সকলের জানা।
অথচ লেটুসপাতা সম্পর্কে কুসংস্কার হলো: ১৯ শতকে ইংরেজ পুরুষরা সন্তানের জন্ম দিতে ইচ্ছুক থাকলে লেটুস পাতা খাওয়া এড়িয়ে চলতেন। কারণ হলো তাতে নাকি সন্তান ধারণে অসুবিধা হতো!
পাখির মল: রাশিয়াতে উড়তে থাকা পাখির মল গায়ে-মাথায় এসে পড়াকে শুভ হিসেবে ধরা হতো। এতে নাকি ওই ব্যক্তির ধনসম্পত্তি বৃদ্ধি পায়।
রাতে চুয়িংগাম চেবানো: রাতে চুয়িংগাম চেবানো অর্থ নাকি মরা মানুষের মাংস চেবানো! দীর্ঘদিন ধরে এমনই কুসংস্কার চলে আসছে তুরস্কের রীতিতে।
বিয়ের সময়ে মুখ ঢাকা: রোমান ইতিহাস বলে, বিয়ের সময় কনের মুখ ঢাকা থাকা আবশ্যক। তাতে সমস্ত অপশক্তির হাত হতে নাকি রক্ষা পাওয়া যায়। কারণ মুখ ঢাকা থাকার কারণে কনেকে চেনা যাবে না তাই!
মধ্যরাতে আঙুর খাওয়া: স্পেনে নববর্ষের সময় পরিচিতরা একে অপরকে কখনও শুভেচ্ছা জানান না। এর পরিবর্তে তারা ১২টি করে আঙুর খান। মনে করা হয় যে, এতে নাকি ১২ মাসই ভালো কাটবে তাদের।
ঘর ঝাড় দেওয়া: বাংলাদেশের গ্রামের মানুষদের মধ্যে একটি কুসংস্কার রয়েছে। আর তা হলো সকালে ঘর ঝাড় দেওয়ার আগে গ্রামের কোনো মানুষ ঘর বা বাড়ি থেকে বের হতেন না। কারণ ঘর ঝাড় না দিয়ে ঘর থেকে বের হলে নাকি অমঙ্গল হয়! অবশ্য এই ধরনের অনেক কুসংস্কার বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জে রয়েছে।