দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাড়িকে আঙ্গুল দেখানোর কারণে চাকরি গেলো এক মহিলার! প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে গাড়িবহরে যাচ্ছিলেন তার পেছনেই একটি সাইকেলে ছিলেন ওই মহিলা।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে গাড়িবহরে যাচ্ছিলেন ঠিক তার পেছনেই একটি সাইকেলে ছিলেন ওই মহিলা। একসময় তিনি ট্রাম্পকে বহনকারী গাড়ির দিকে তার মধ্যমা আঙ্গুল উঁচু করে তুলে ধরেন।
পরে তার এই ছবিটি প্রকাশিত হলে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। ওই ছবিটি তোলা হয় গত ২৮শ অক্টোবর ভার্জিনিয়ায়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেখানে গল্ফ খেলতে গিয়েছিলেন তার খুব নিকটেই। তারপর এই ছবিটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।
ছবিতে যে সাইকেল চালককে দেখা যাচ্ছে তাকে চিহ্নিত করা হয় জুলি ব্রিস্কম্যান হিসেবে। এই ছবিটি তিনি অনলাইনে তার প্রোফাইল হিসেবে প্রকাশ করার পর তিনি যেখানে কাজ করতেন সেই প্রতিষ্ঠান অ্যাকিমা এলএলসি হতে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে বিবিসি। তবে কোম্পানিটির পক্ষ হতে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ব্রিস্কম্যান যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলোকে বলেছেন যে, তার ছবিটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার খবরটি অফিসের এইচ আর বিভাগকে জানানোর পর তাকে একটি মিটিং-এ ডেকে পাঠানো হয়েছিল। হাফিংটন পোস্ট নিউজ ওয়েবসাইটকে তিনি জানিয়েছেন, অফিসের নির্বাহী কর্মকর্তারা তখন তাকে বলেছেন, তারা মনে করেন এই ছবিটি ‘অশোভন’ বা ‘অশ্লীল।’ সেকারণেই তারা মনে করেন যে, এই ছবিটি পোস্ট করে তিনি তাদের অফিসের সোশাল মিডিয়ার নীতি ভঙ্গ করেছেন।
ব্রিস্কম্যান বলেছেন, ম্যানেজমেন্টকে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন ছবিটি যখন তোলা হয় তখন তিনি মোটেও কাজের সময়ের মধ্যে ছিলেন না। এমনকি তিনি অফিসের কথাও সেখানে বলেননি।
ব্রিস্কম্যান আরও অভিযোগ করেছেন, তার অন্য এক পুরুষ সহকর্মীর বেলায় এরকম ঘটনায় তাকে চাকরি হারাতে হয়নি। তবে তাকে কেনো চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো- সেটি জানতে চান তিনি।
৫০ বছর বয়সী মিস ব্রিস্কম্যান দুই সন্তানের জননী। ইতিপূর্বে তিনি সরকারি একটি অফিসেও চাকরি করেছিলেন। চাকরি হারানোর পরেও তিনি বলেছেন, ওভাবে আঙ্গুল তুলে ধরার ঘটনায় তিনি মোটেও অনুতপ্ত নন।
তিনি বলেছেন যে, “আমি ঠিক করেছি। আমাদের দেশ এখন যেখানে গিয়ে পৌঁছেছে তাতে আমি খুব ক্ষুব্ধ। এটা ছিলো আমার জন্যে কিছু একটা বলার বা করার সুযোগ।”