দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ শুরু হয়েছে গতকাল ৫ এপ্রিল থেকেই। ৬ এপ্রিলের লংমার্চকে ঘিরে সারাদেশ জুড়ে এক চরমতম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এই লংমার্চে অংশগ্রহণ করছে সারাদেশের মাদ্রাসা-মসজিদসহ অনেক সাধারণ জনগণও। আর তাই এই লংমার্চে যাওয়ার জন্য বিশেষ করে চট্টগ্রামসহ সারাদেশেই টুপি বিক্রির হিড়িক পড়ে গেছে।
হেফাজতে ইসলামীর এই লংমার্চে সারাদেশের বহু মসজিদ বিশেষ করে মাদ্রাসার ছাত্রদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। তাদের টুপি পরা থাকে প্রায় সব সময়। কিন্তু অনেক সাধারণ মানুষও এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। অনেকেকেই এমনভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে যে, এটি একটি ঈমানী দায়িত্ব। যেহেতু তাদের ভাষায়, ‘ব্লগাররা নাস্তিক’ আর এই নাস্তিকদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ঈমানী দায়িত্ব। তাছাড়া সাধারণ জনগণকে এমনও বোঝানো হয়েছে, ‘ওই সব ব্লগাররা আমাদের নবী করিম (সা:) কে কটুক্তি করেছে। তাই তাদের উৎখাতে সম্পৃক্ত হওয়া ঈমানী দায়িত্ব’,
ঠিক এমন কথা-বার্তার প্রেক্ষিতে অনেক ধর্মভীরু মুসলমানও হেফাজতে ইসলামীর এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। আর তাই চট্টগ্রামসহ সারাদেশে টুপি বিক্রির হিড়িক পড়ে গেছে। কারণ এই লংমার্চে যে বা যারাই অংশগ্রহণ করুক না কেনো তাদেরকে টুপি পরতেই হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গত দুই/তিনদিনে হাজার হাজার টুপি বিক্রি হয়েছে। টুপির দোকানগুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভীড়। আবার ছোট ছোট টেইলার্সগুলোতেও টুপি বানাতে দেখা গেছে। তাই অনেকেই এই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেও বলেছেন, আর যাই হোক অন্তত মানুষের মধ্যে সুন্নত পালনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।