দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। আজ শুক্রবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ খৃস্টাব্দ, ২৪ মাঘ ১৪২১ বঙ্গাব্দ, ১৬ রবিউস সানি ১৪৩৬ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
উত্তর জনপদের ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন কুসুম্বা মসজিদ। ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন গুলোর মধ্যে এটি অনন্য। এই মসজিদটির নামকরন করা হয়েছে কুসুম্বা নামক গ্রামের অনুকরণে।
কুসুম্বা গ্রামটি নওগাঁ জেলার অন্তর্গত মান্দা থানাধীন ও বাংলাদেশের সুপরিচিত একটি নদী আত্রাই নদীর পুর্ব তীরে অবস্থিত। এই মসজিদ নিয়ে উক্ত এলাকাতে একটা কুসংস্কার এখনও প্রচলিত রয়েছে। একদল জীন নাকি মাত্র এক রাতে এই মসজিদটি নির্মাণ করেছে।
সত্যিকার অর্থে এই ঐতিহাসিক মসজিদটি ১৫৫৮-৫৯ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাতে আফগান শূরী শাসক গিয়াসউদ্দিন বদর শাহ্-এর শাসন আমলে সুলায়মান নামক একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা মসজিদটির নির্মাণ কাজ সম্পাদন করেন। মসজিদটির নির্মাণ তারিখটি আরবী অক্ষর দ্বারা পূর্ব পার্শের মধ্যবর্তী ফটকের উপরে স্থায়ীভাবে লিখিত রয়েছে।
মসজিদটি প্রায় পাঁচশত বছরের পুরাতন হওয়ায় অত্র এলাকার জনগনের মধ্যে কুসংস্কার বিদ্যমান থাকায় এখানে বেশ কিছু শরিয়ত বিরোধী কর্মকান্ডও হয়ে থাকে। যেমন, এখানে মানত করা, দান-খয়রাত করা ইত্যাদি। জনশ্রুতি রয়েছে যে, যাদের সন্তানাদি হয়না তারা যদি এখানে মানত এবং দান-খয়রাত করে তাহলে তাদের সন্তান হয়ে থাকে। এছাড়াও অসুখ-বিসুখ হলে, ব্যবসায় লাভবান হওয়া, মনের ইচ্ছা পূরণ হওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে লোকজন এখানে নামাজ আদায়, মানত এবং দান-খয়রাত করে থাকে। প্রতি শুক্রবার জুম্মাবার সেখানে পোলাও রান্না করার ধুম পড়ে যায়। এক কথায়, সেখানে বড় ধরনের মজলিশ অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্যসূত্র: proshuniium.wordpress.com এর সৌজন্যে।