দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং নব্বুইয়ের গণঅভ্যুত্থান সব আন্দোলনকে এবার পার করেছে। আজ দেশে এমন এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে যে প্রতিনিয়ত পুড়ছে গাড়ি, মরছে মানুষ কিন্তু আর কত দিন? ১৬ কোটি মানুষের প্রশ্ন ‘নামাইতে না পারলে থামেন, আর থামাইতে না পারলে নামেন’।
আন্দোলন হবে এটিই গণতান্তিক দেশে স্বাভাবিক একটি নিয়ম। আমরা নব্বইয়ের এরশাদ বিরোধী আন্দোলন দেখেছি। কিন্তু সে সময় জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল প্রতিটি আন্দোলনে। কিন্তু আজকের আন্দোলনে আমরা কি দেখছি। একের পর এক পেট্রোল বোমা হামলা করে মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। দেশের শত শত গাড়ি পুড়িয়ে সম্পদের বিনষ্ট করা হচ্ছে। কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ নেমে এসেছে ধ্বস।
আজ দেশের পরিস্থিতি এমন যে ২০ দলের কর্মসূচি চলছে লাগাতার অবরোধ-হরতাল। দেশের প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে আন্দোলন করার অধিকার। কিন্তু কাওকে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি কখনও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
এদিকে সরকার বলছেন সব নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে রাতের অন্ধকারে চোরাগোপ্তা হামলা চলছে প্রতিদিন। কেও না কেও পুড়ছে। এমন অবস্থা আর কতদিন চলবে। ২০ দল চাচ্ছে সরকার আলোচনায় বসে মিমাংসা করবেন। আর সরকার বলছেন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হতে পারে না। মাঝখানে জনগণ পুড়ে মরছে। আজ দেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রশ্ন এভাবে আর কতদিন দেশ চলবে? আর কত দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরের বাইরে বের হতে হবে? কবে জনগণ স্বচ্ছি পাবে? এ প্রশ্নের উত্তর সরকার এবং আন্দোলনকারীরা কেওই দিতে পারবেন না।
একটি টিভির বক্তব্যকে এখানে আজ কোড করতে চাই, ‘নামাইতে না পারলে থামেন, আর থামাইতে না পারলে নামেন।’
আজ দেশের প্রতিটি মানুষের বক্তব্যও তাই।