দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এসএসসি পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই এইচএসসি পরীক্ষার সময় এগিয়ে এসেছে। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১ এপ্রিল হতে শুরু হবে বলে ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন, কি পরিণতি হবে শিক্ষার্থীদের?
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, চলমান এসএসসি পরীক্ষা মার্চ মাসের মধ্যেই শেষ হবে। ১ এপ্রিল হতে শুরু হবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এছাড়া এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল নির্দিষ্ট সময়েই প্রকাশ করা হবে বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর সরকারি ল্যাবরেটরি হাইস্কুল এবং ধানমণ্ডি বয়েজ হাইস্কুলে এসএসসির পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী একথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘হরতাল ও নাশকতার কারণে বারবার পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় পরীক্ষার্থীরা যাতে হতাশ হয়ে না পড়ে- এজন্য আপনারা সন্তানদের উৎসাহ দেবেন। তাদের বলবেন- তোমরা ঠাণ্ডা মাথায় প্রস্তুতি নাও ও পরীক্ষা দাও।’
এদিকে পরীক্ষার সিডিউল ঘোষণার কথা শুনেও অভিভাবকরা খুশি হতে পারছেন না। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে হরতাল-অবরোধে বার বার পরীক্ষা পেছানোর কারণে সবাই উদ্বিগ্ন। শিক্ষার্থীরা পড়া-লেখা করে এক বিষয়ে আর হরতাল-অবরোধের কারণে সিডিউল পরিবর্তন ঘটে তাদের বিষয় পরিবর্তন হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখায় চরম ক্ষতি হচ্ছে। অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের এমন পরিণতি দেখে চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের পরিণতি কি হবে তা নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এমনকি সচেতন দেশবাসীও উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। কেবল বোধোদয় নেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারীদের। তারা পরীক্ষার এই সময়টিতে তাদের কর্মসূচি স্থগিত রাখতে পারেন। বিষয়টি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বিবেচনায় আনতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বিগত এসএসসি পরীক্ষায় যেমন পরিস্থিতি হয়েছে আগামী এইচএসসি পরীক্ষায় যাতে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে না হয় সেটিই সবার কাম্য।