দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার ভারতে নিষিদ্ধ করা হলো জঙ্গি সংগঠন ইসলামীক স্টেট (আইএস)। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দিয়েছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গি সংগঠন ইসলামীক স্টেট (আইএস) এর কর্মকাণ্ড নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। ইসলাম প্রতিষ্ঠার দোহায় দিয়ে এই সংগঠনটি একের পর এক মানুষ হত্যার মতো জঘন্যতম বর্বর কাজটি করে আসছে। কখনও শিরচ্ছেদ আবার কখনও মানুষকে খাঁচায় ভরে পুড়িয়ে মারার মতো বর্বরতম কাজ করছে এই সংগঠনটি। তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। এমন এক পরিস্থিতিতে এবার ভারতে নিষিদ্ধ করা হলো জঙ্গি সংগঠন ইসলামীক স্টেট (আইএস) এবং এর সব অঙ্গ সংগঠন। গত বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং আনুষ্ঠানিকভাবে এই সংগঠনটির কার্যক্রম নিষিদ্ধের ঘোষণা দেন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ভারতের আনলফুল অ্যাকটিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্টের (ইউএপিএ) অধীনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই জঙ্গি সংগঠন। গত ২/৩ বছর ধরে বিশেষ করে ইরাক ও সিরিয়ায় এই সংগঠন এবং তাদের সহযোগী সংগঠন নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে।
সংবাদ মাধ্যম আরও বলেছে, নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে রয়েছে দ্য ইসলামীক স্টেট, ইসলামীক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভাল্ট, ইসলামীক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া ইত্যাদি সংগঠন।
২০১৪ সালে আইএসে যোগ দিতে মহারাষ্ট্রের চার যুবক ইরাক এবং সিরিয়া যান। এদের মধ্যে একজন দেশে ফিরে এলেও বাকি তিনজনের কোনো হদিস মেলেনি। অপরদিকে আইএসপন্থী একটি টুইটার চালানোর অভিযোগে একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত বেঙ্গালুরুরের এক যুবককে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে গ্রেফতার করা হয়। আবার গত মাসেও আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় যাওয়ার আগে এক যুবককে হায়দরাবাদ হতে গ্রেফতার করে ভারতীয় পুলিশ।
এই জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, আইএসে ভারতীয় যুবকদের যোগ দেওয়ার বিষয়টি গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, অবশ্য ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং গত ১৬ ডিসেম্বর সংসদে এক ঘোষণা জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের সূচি মেনে ভারত মধ্যপ্রাচ্যের এই জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে।