দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। আজ শনিবার, ৭ মার্চ ২০১৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ ফাল্গুন ১৪২১ বঙ্গাব্দ, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৬ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে ছবিটি দেখছেন এটি বান্দরবান নাফাখুম জলপ্রপাত। এটিকে বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশের নায়াগ্রা। কারণ নায়াগ্রা জলপ্রপাতের মতই অনেকটা দেখতে এটি।
নাফাখুম জলপ্রপাত বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি একটি মারমা অধ্যুসিত এলাকায়। মারমা ভাষায় ‘খুম’ অর্থ হচ্ছে জলপ্রপাত।
রেমাক্রি হতে তিন ঘণ্টার হাঁটা পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় আশ্চর্যজনক সুন্দর সেই জলপ্রপাত ‘নাফাখুম’। ২৫/৩০ ফুট নিচে পতিত হয়ে প্রকৃতির খেয়ালে সৃষ্টি হয়েছে চমৎকার এই জলপ্রপাতটি।
সূর্যের আলোয় যেখানে নিত্যদিন খেলা করে এক বর্ণিল রংধনু। আকাশে তৈরি হয় হাজার এক রঙের আলোকচ্ছটা। মেঘের আড়ালে যখন সূর্য হাসে আলোর সে হাসির ঝিলিক ছড়িয়ে পড়ে যেনো পুরো পাহাড়তলে। এখানে খরস্রোত নদীর পানি সাই সাই করে ধেয়ে যায় কলকল শব্দে। যারা বিদেশের মাটিতে সুন্দরকে খুঁজে বেড়ান তাদের জন্য নাফাখুম এক চ্যালেঞ্জ ছাড়া আর কিছুই নয়। আমাদের দেশে এমন সুন্দর স্থান থাকতে পারে তা না দেখলে সত্যিই বিশ্বাস করা মুশকিল। পাহাড়, নদী আর পাথুরে খাল দেখে মনে হবে যেনো কোনো এক ছবির পাতায় পাতায় হাটছি।
অসাধারণ সুন্দর একটি স্থান এটি। পানির গমগম করে ঝড়ে পরার শব্দে চারদিক মুখরিত। মনটা হারিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়। প্রকৃতি যে এতো রূপ ধারণ করতে পারে তা না দেখলে বিশ্বাস হবে না। বর্ষার সময় এখানকার ঝর্নার আকার বড় হয়। আর শীতের দিনে এটি ক্ষীণ হয়ে যায়। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে নাফাখুমের প্রকৃত সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। উপর থেকে আছড়ে পড়া পানির আঘাতে ঝর্নার চারিদিকে সৃষ্টি হয় ঘন কুয়াশার। এ সময় এক অপরূপ দৃশ্যের অবতারণা হয়। উড়ে যাওয়া জলকনাগুলো বাষ্পের সঙ্গে ভেসে ভেসে আশেপাশের পর্যটকদের শরীরে এসে পড়ে। সে এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি। এটিকে বাংলার নায়াগ্রা বললে ভূল বলা হবে না। আপনিও একবার এর সত্যতা যাচায় করার জন্য যেতে পারেন।
ছবি ও তথ্য: abujarif.wordpress.com এর সৌজন্যে।