দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বায়ান্ন ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং নব্বুইয়ের গণঅভূত্থানসহ বেশ কিছু ইস্যুতে বাঙালিরা ঐক্যমতে পৌঁছেছিল। বর্তমান অস্থিতিশীল প্রেক্ষাপটেও গতকাল আবার দেখা গেলো মিলে-মিশে একাকার হয়ে গেছে পুরো বাংলাদেশ।
বায়ান্ন ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং নব্বুইয়ের গণঅভূত্থানসহ বেশ কিছু ইস্যুতে বাঙালিরা ঐক্যমতে পৌঁছেছিল। বর্তমান অস্থিতিশীল প্রেক্ষাপটেও গতকাল আবার দেখা গেলো মিলে-মিশে একাকার হয়ে গেছে পুরো বাংলাদেশ।
অনেকদিন পর মনে হলো এক শান্তির সুবাতাস বইছে দেশে। যদিও সেটি ছিল মাত্র একটি দিনের জন্য। গতকালকের কথায় বলছি। তবুও আমাদের জন্য এটি হয়তো অনেক কিছু। সত্যিই যদি রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের সু-মতি হয়! এমন কথা আমাদের ভাবতেই বা ক্ষতি কি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দ্বিতীয় রাউন্ডে উন্নীত হয়েছে। এটি আমাদের জন্য বড় একটি পাওয়া। আর তাই এই একটি ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ একমত হয়েছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শীরাও এক হয়েছেন। আর তাই হরতালের মতো কর্মসূচি শিথিল হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে প্রতিটি অঞ্চলে আনন্দ মিছিল হয়েছে। দেশজুড়ে চলা সহিংসতার পরও মানুষ দলমত নির্বিশেষে এক হয়ে গেছেন। সবাই রাস্তায় নেমে আনন্দ-উৎসব করেছেন। আমাদের দামাল ছেলেদের উৎসাহ দিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছিল। আমরা চাই সারাবছর সব সময় বাঙালিরা এমনভাবেই মিলে-মিশে একাকার হয়ে যাক। মতাদর্শের পার্থক্য থাকলেও জাতীয় ইস্যুগুলোতে সবাই এক হয়ে কাজ করুক। তাহলে একদিন বহু রক্ষের বিনিময়ে যে দেশটি আমরা স্বাধীন করেছিলাম তা সার্থক হবে।