দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিরাতে বিনামূল্যে গরীবদের খাওয়ানো হয় এমন হোটেল বগুড়ার আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট। ১৯১৮ সাল থেকে দীর্ঘ ৯৭ বছর ধরে এটি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের মতো একটি দেশে ভিন্নমূল মানুষের সংখ্যা যেখানে প্রচুর। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মতো লোকের সংখ্যা সে তুলনায় নেই বললেই চলে। দু’চার জনকে পাওয়া যায় যারা সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। গত ৯৭ বছর ধরে প্রতি মধ্যরাতে বিপুল সংখ্যক মুছাফির ও গরীব মানুষকে বিনামুল্যে খাবার খাওয়াচ্ছে বগুড়ার আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট।
আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট বগুড়া শহরের কবি কাজী নজরুল ইসলাম সড়কে অবস্থিত। হোটেল কর্তৃপক্ষ ১৯১৮ সাল থেকে টানা ৯৭ বছর শহরের ভিক্ষুক, গরিব, ভাসমান, ছিন্নমূল ও অভাবী মানুষকে বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করে আসছেন।
জানা যায়, এই হোটেলটির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আকবর আলী মিঞা সৃষ্টিকর্তার রহমত প্রত্যাশায় ৯৭ বছর আগে অর্থাৎ ১৯১৮ সালে বিনামুল্যে মুছাফির ও গরীবদের খাওয়াবার প্রচলন করেছিলেন। মৃত্যুর আগে ছেলেদের বলে যান এটি চালু রাখতে। তাঁর উত্তরসূরীরা সেটি আজও চালু রেখেছেন।
জানা যায়, প্রতিরাতে কোন ঝুটা খাবার নয় বরং ১ মন চালের নুতন করে ভাত রান্না করে তরকারীসহ প্রায় ৩০০-৩৫০ মানুষকে বিনামূল্যে খাওয়ানো হয়।
এখনকার সমাজে এমনটি দেখা যায় না। বগুড়ার আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টটি একটি নজির হয়ে আছে সকলের জন্য। উপরে আবাসিক হোটেল ও নীচে রেস্টুরেন্ট। এই রেস্টুন্টের খ্যাতি দেশজোড়া। বগুড়া অঞ্চলে গেলে যে কেও এই হোটেলটি বেছে নেন। মফস্বলের হোটেল হলেও এই আকবরীয়ার আবাসিকে যারা বোর্ডার থাকেন তারা এখানে থাকা অবস্থায় কাপড়-চোপড় ধোয়া ও আইরণ সবই হোটেল কর্তৃপক্ষ করে দিয়ে থাকেন। তবে সব কিছুর ঊর্ধে রয়েছে গরীবদের বিনামূল্যে খাওয়ানো। যেটি মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। আপনিও ইচ্ছে করলে একবার বগুড়া গেলে আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট এ ঘুরে আসবেন।
ছবির জন্য Jubair Abdullah কে ধন্যবাদ।