দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হঠাৎ করে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পল্টন কার্যালয়ে আগমন ও সিটি নির্বাচন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। অনেকেই এমন অবস্থায় রাজনৈতিক মেরুকরণ পাল্টাতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন।
দীর্ঘদিন বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। নানা জটিলতার কারণে এবং দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সেখানেই দীর্ঘদিন তিনি অবস্থান করেন। সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পরিস্থিতিও বেশ ঠাণ্ডা মনে হচ্ছে। ২০ দলের কর্মসূচিও চলছে বেশ ঢিলেঢালাভাবে।
সাধারণ মানুষ সব সময়ই চাই দেশের বড় দুটি দলের মধ্যে সমঝোতা বজায় থাকুক। বড় দুটি দলের মধ্যে মতের মিল না থাকলে তার মাশুল দিতে হয় জনগণকে। যেমনটি দিতে হচ্ছে গত ৩ মাসের বেশি সময় ধরে জনগণকে। তবে সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে।
দেশের বড় দুটি দলই নির্বাচনমুখি। আর তাই সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হবে এমন আশা করা যায়। তবে বিএনপি নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা ও মামলার বিষয়গুলো নিয়ে বার বার ক্ষমতাসীনদের স্মরণ করে আসছে। বিএনপি দাবি করছে, নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ সকল ক্ষেত্রে মসৃণ করতে হবে।
এমন এক পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছু সময়ের জন্য হলেও শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। কিন্তু নির্বাচন পার হলে তখন কি পরিস্থিতি হয় সেটি নির্ভর করছে নির্বাচনের ফলাফল ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর। কারণ আমাদের দেশে একটি প্রচলিত রাজনৈতিক অবস্থান রয়েছে। আর তা হলো নির্বাচনে জিতলে বলা হয়, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে’ আর হারলে বলা হয়, ‘কারচুপি করা হয়েছে’। তাই নির্বাচন সুষ্ঠু হয় কিনা এবং তার ফলাফল কি হয় সেটির ওপরও অনেকটা নির্ভর করছে ভবিষ্যত রাজনৈতিক পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে।
তবে জনগণের একটিই প্রত্যাশা তা হলো, দেশে আবার শান্তি ফিরে আসুক। দেশের বড় দুটি দলের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হোক। রাজনৈতিক হানাহানি দূর হোক। দেশে আবার সব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। অবরোধ, হরতালের মতো কর্মসূচি যেনো আর আমাদের দেখতে না হয়। এমনটি আশা করছি আমরাও।