দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার স্মার্টফোন এবার ভূমিকম্পের আগাম তথ্য জানাবে! একদল গবেষক দীর্ঘ গবেষণা শেষে সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়েছেন।
পৃথিবীতে কখন, কোনখানে ভূমিকম্প হবে সে তথ্যসহ প্রয়োজনীয় সর্তকর্তামূলক পরামর্শও দিয়ে আপনার স্মার্টফোনটি আপনাকে জানিয়ে দেবে। দীর্ঘ গবেষণা শেষে একদল গবেষক সম্প্রতি এই তথ্য দিয়েছেন।
গবেষণা দলটি জানিয়েছে, স্মার্টফোনের জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) রিসিভার পৃথিবীর ভূ-ভাগের নড়াচড়া শনাক্ত করতে সক্ষম। যে কারণে কোথাও ভূমিকম্প হলে সেটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে জানা সম্ভব।
গবেষণক দলটি এ বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণও করেন। এতে তারা জানতে পেরেছেন যে, ব্যবহারকারীর স্মার্টফোন মাধ্যমে ‘ক্রাইড সোর্স’ নির্ণয়ের মাধ্যমে ভূমিকম্প নিরুপণ করা সম্ভব। আগে থেকেই ভূমিকম্পের উৎস জানতে পারলে অন্যদেরও বিষয়টি সতর্ক করে দেওয়া যাবে বলে গবেষকরা মনে করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে কাজ করেন গবেষক দলের প্রধান সারা মিনসন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘ক্রাইড সোর্স’ অ্যালার্ট হলো একটি নির্দিষ্ট এলাকার তথ্য সমষ্টি। সেখানে স্বস্ব এলাকার জনগণের দ্বারাই তথ্য সংগৃহিত হয়। যে কারণে ওই এলাকায় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পাওয়া মাত্রই স্মার্টফোনের মাধ্যমে সতর্কবার্তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। এতে করে সকলেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে পারবে।
স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভূমিকম্পের সংকেত কতটা কার্যকরী ও ফলপ্রসু সেটা দেখার জন্য ওই গবেষণাকারী দল ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা জাপানে গবেষণা চালিয়েছেন। ওই গবেষণাকারী দল জাপানের সবচেয়ে ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা তোহোকু-অকি শহরকে বেছে নেন। গবেষকরা সেখানে ‘ক্রাউড সোর্স ইইই’ এর সঙ্গে সিমুলেশনের মাধ্যমে ভূমিকম্পের সম্ভাব্যতা যাচাইও করেছেন।
গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন এটি বেশ কাজের। ক্রাউড সোর্স ইইই-এর মাধ্যমে ওই এলাকার কমবেশি প্রায় সকলেই তথ্য প্রদান করেছেন। গবেষণাকারী দল উদাহরণ স্বরূপ দেখিয়েছেন, একটি বড় মহানগর এলাকায় যদি ৫ হাজার মানুষ স্মার্টফোনের মাধ্যমে পূর্বাভাস জানাতে পারে তবে ভূমিকম্প শনাক্ত করা সম্ভব। তাতে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির হাত হতে ওই এলাকার মানুষ রেহাই পাবেন।
তবে স্মার্টফোনের সেন্সর রিকটার স্কেলে ৭ কিংবা ততোধিক মাত্রার ভূমিকম্প নিরূপন করতে সক্ষম। কিন্তু ৭ এর কম মাত্রার ভূমিকম্প নিরূপন করতে পারে না। কিন্তু ক্রাউড সোর্সের তথ্য কম সুনির্দিষ্ট। তবে বড় মাত্রার ভূমিকম্প ভূ-ভাগে বড় ধরণের ঝাঁকুনি তৈরি করে থাকে। ক্রাউড সোর্স ভূমিকম্পের প্রয়োজনীয় সব তথ্য সংগ্রহ করে এবং সতর্কবার্তা পাঠায়।