দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে ৩ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম এই তিনটি সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে ৩ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম এই তিনটি সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে এই তিন সিটিতে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ হয় রবিবার মধ্যরাত হতে। বিধি অনুযায়ী নির্বাচনের ৩৬ ঘন্টা আগে প্রার্থীদের সব প্রচারনা বন্ধ হওয়ার নিয়ম থাকায় সব প্রচারণা বন্ধ হয়ে যায়। শেষ সময়ে মেয়র ও কাউন্সিলরদের চলে বিরামহীন প্রচারণা। ব্যানার ফেস্টুন ছাড়াও মাইকের প্রচারণা চালানো হয়। সর্বশেষ সময়ে মোবাইলে মেসেজ দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন অনেক মেয়র প্রার্থী।
নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য গত রবিবার থেকেই মাঠে নেমেছেন র্যাব বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮০ হাজার সদস্য। এদের পাশাপাশি থাকবেন প্রায় ৫শ’ জন ম্যাজিস্ট্রেট। ক্যান্টনমেন্টে তিন ব্যাটালিয়ান সেনা সদস্য প্রস্তুত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তারা ডাকলেই সেনা সদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ শুরু করবে।
ব্যালট পেপার, ব্যালট বক্সসহ অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রী গত শনিবার ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে গেছে। গতকাল ২৭ এপ্রিল সোমবার এসব মালামাল ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়।
আজকের নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (আওয়ামী লীগের সমর্থনে) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে সাঈদ খোকন ও (বিএনপির সমর্থনে) মির্জা আব্বাসসহ ২০ জন প্রার্থী মেয়র পদে এবার লড়ছেন। অন্যদিকে ঢাকা উত্তরে (আওয়ামীলীগের পক্ষে) আনিসুল হক ও (বিএনপির পক্ষে) তাবিথ আউয়ালসহ ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চট্টগ্রামে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম (বিএনপি’র পক্ষে) ও আ. জ. ম নাছির উদ্দীন (আওয়ামীলীগের পক্ষে)সহ ১২ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অভিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছিল। ওই সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০০৭ সালের ১৪ মে। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর ডিসিসিকে উত্তর ও দক্ষিণ- দুভাগে ভাগ করা হয়। নানা আইনী জটিলতার কারণে নির্বাচন হয়নি। দীর্ঘ এক যুগের পর ঢাকা সিটিতে নির্বাচন হতে যাওয়ায় ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে চট্টগ্রামে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সর্বশেষ ২০১০ সালের ১৭ জুন।
এদিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে বিপুল সংখ্যক ভোটাররা রায় দেবেন তাদের নগরপিতা ও সিটি কাউন্সিলরদের নির্বাচনে।