দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্মরণকালের ভয়াবহতম ভূমিকম্পের তাণ্ডবে নেপালে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
নেপালের ইতিহাসে আট দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে হিমালয়কন্যা হিসেবে খ্যাত নেপালে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। গতকাল ২৮ এপ্রিল সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশিল কৈরালা এই আশংকা প্রকাশ করেন।
এদিকে নেপালে ভূমিকম্পে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বার বার ভূমিকম্পের আশংকায় এখনও ঘরে ফিরতে পারছেন না কেও। খোলা আকাশের নীচে হাজার হাজার মানুষ মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। খাবার ও পানির অভাব দেখা দিয়েছে। অপরদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।
গত কদিনে প্রায় ৬০টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত নেপালে। স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের প্রভাবে আগামী ‘কয়েক সপ্তাহ’ ধরে নেপালে আরও বেশ কয়েকটি ভূকম্পনের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ জিওলজিক্যাল সার্ভে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ব্রায়ান ব্যাপ্টি বলেছেন, মূল আঘাতের পর ভূমিকম্পের প্রভাবে আরও কয়েকটি মৃদু কম্পন হওয়ার সম্ভাবনা সবসময়ই থাকে। ২৫ এপ্রিল আঘাতের পর আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে এর প্রভাবে আরও বেশ কয়েকটি ভূকম্পন আঘাত হানতে পারে নেপালে। ভূকম্পন পরবর্তী আঘাতগুলোর মাত্রা রিখটার স্কেলে সাড়ে ৬ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন।
এবারের ভূমিকম্পে কাঠমাণ্ডুর অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। ভূমিকম্পের পরে নেপালকে চেনাই দুষ্কর। এক মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়েছে এক সময়ের খ্যাতিমান পর্যটন নগরী হিসেবে খ্যাত নেপাল। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও মৃতদেহ মিলছে।
উল্লেখ্য, ২৫ এপ্রিল নেপাল, বাংলাদেশ এবং ভারতে একযোগে আঘাত হানে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটি। উৎপত্তিস্থলে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯।১৯৩৪ সালে ভয়াবহ এক ভূমিকম্প আঘাত হানে নেপালে। রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে নিহত হয় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।