দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক আগেই ঢাল-তলোয়ারের যুদ্ধ হারিয়ে গেছে। রাইফেল, বন্দুকের যুগও শেষ হতে চলেছে। ভবিষ্যতে সামরিক বাহিনী সজ্জিত হতে চলেছে আজব সব অস্ত্রে। এরকম কিছু আধুনিক কিন্তু অদ্ভুত অস্ত্র নিয়ে আজকের এই আয়োজন।
মিসাইল সন্ধানী
মিত্র এলাকা টহল দেওয়ার জন্য উড়োজাহাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি যোগ করে বানানো হয়েছে এ যুদ্ধযান। মিসাইল ধ্বংস করে আকাশসীমা বিপদমুক্ত রাখাই এর কাজ। মাটি থেকে ৪০ হাজার ফুট ওঠে সূক্ষ্ম যান্ত্রিক চোখে চারপাশে নজর বুলাবে। সন্দেহজনক কিছু ধরা পড়লেই তথ্য চলে যাবে কেন্দ্রীয় কম্পিউটারে। সেখানে বের করা হবে মিসাইলের ধরন, ধেয়ে আসার দিক ও গতিপ্রকৃতি। তারপর বিমান থেকে ড়্গেপণাস্ত্র লড়্গ্য করে ছুটে যাবে শক্তিশালী লেজার রশ্মি।
হিট গান
শত্রুপক্ষকে না মেরে তাড়িয়ে দেয়ার আরেকটি মোড়্গম অস্ত্র এটি। এটি দিয়ে ৫০০ মিটারের মধ্যে দাঁড়ানো একদল শত্রুকে হামলা করা যায়। তরঙ্গ ছুড়ে আশপাশের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠাতে পারে এই যন্ত্র। তরঙ্গ চামড়ায় লাগলে মনে হবে শরীর জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছে। কিন্তু খুব একটা ড়্গতি হবে না তাতে। বিশেষ করে শত্রুদের ছত্রভঙ্গ করতে এর জুড়ি নেই।
একের ভেতর সব
যুদ্ধক্ষেত্রে অনেক সেনার কাজ একাই সেরে ফেলতে পারে এমন এক রোবট উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোর্ডস নামের এই রোবটটি প্রথমে বিস্ফোরক শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয় করার কাজে ব্যবহৃত হতো। পরে এতে মেশিন গান রাইফেল, ট্যাংক বিধ্বংসী গোলা ও গ্রেনেড লঞ্চার বসিয়ে এমন দশাসই এক চেহারা দেয়া হয়েছে, দেখা শত্রু অর্ধেক কাবু হয়ে পড়বে। ট্যাংকের মতো চাকায় ভর দিয়ে চলা রোবট-গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বহুদূর থেকে। ভবিষ্যতে হয়তো সোর্ডসরাই মানবসেবার জায়গা নিতে যাচ্ছে।
বশ মানবে প্রকৃতি
ঝড়-জলকে বশে আনতে এ পর্যন্ত অনেক গবেষণা হয়েছে পৃথিবীজুড়ে। এগুলোর ফলাফল কাজে লাগানো যেতে পারে মারাত্মক মারণাস্ত্র হিসেবে। আকাশ ভেঙে নামানো যায় প্রচ- ঝড় অথবা শত্রম্নশিবিরে লেলিয়ে দেয়া যায় বন্যার পানি। এমনকি ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত প্রয়োজনে কাজে লাগানো অসম্ভব নয়। অনেকের ধারণা এরই মধ্যে অস্ত্রটি পরখ করা হয়েছে চীনের তাংশানে, ১৯৭৬ সালে। প্রবল ভূমিকম্পে সাড়ে ৬ লাখ লোকের মৃত্যুর আগে আকাশে দেখা গিয়েছিল লাল-সাদা আলো। গাছপালা এমনভাবে পুড়ে গিয়েছিল যে, মনে হয়েছিল আগুনের গোলা আঘাত করেছিল সেগুলোকে।
শ্রবণযন্ত্র টালমাটাল
বন্দুকের মতো যন্ত্রটি গুলির বদলে ছুড়ে দেয় শক্তিশালী বেতার তরঙ্গ যা ইটের পুরু দেয়াল ভেদ করে আঘাত হানবে শত্রুর কানে! শ্রবণযন্ত্রের ভেতর ঢুকে এ তরঙ্গ আক্রমণ করে বসে স্নায়ুতন্ত্রে। মস্তিষ্কে উল্টোপাল্টা সিগন্যাল পাঠাতে থাকে। সৃষ্টি করে ভারসাম্যহীনতা ও হতভম্ব ভাব। সব মিলিয়ে শত্রুর ভেতর এক ধরনের অসহায় অনুভূতি তৈরি করবে এ তরঙ্গ। তবে এর প্রভাব সাময়িক। স্বাস্থ্যেরও ড়্গতি করবে না।