দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাম্প্রতিক সময়ে দেশে মানব পাচার বেড়েছে। দারিদ্র জনগোষ্ঠীকে দারিদ্রতার সুযোগে এক শ্রেণীর দালালরা বিদেশ চাকরীর নাম করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সময় এসেছে পাচার রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে কক্সবাজারের টেকনাফ, মহেশখালী, রংপুর সীমান্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে এক শ্রেণীর দালালরা দারিদ্র্যতার সুযোগে বিদেশে চাকরীর নামে পাচার করে দিচ্ছে। সমুদ্রপথে পাচার হওয়া এসব মানুষগুলো তাদের সেই কাঙ্খিত বিদেশ যাত্রায় কখনও সফল হন কিনা তা আমরা জানিনা। তবে কখনও মৃত্যুমুখে পতিত হন, আবার কখনও ধরা পড়ে জেলের ঘানি টানেন।
সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশীয়া, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে যাওয়া শনাক্ত বাংলাদেশীদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে- এমনটি জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা জানান। মালয়েশীয়া, ইন্দোনেশীয়া এবং থাইল্যান্ডের কাছাকাছি সমুদ্রে ভাসমান পাচার হয়ে যাওয়া বাংলাদেশীদের বিষয়েও দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার- এমনটি জানান তিনি।
পাচার বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেছেন, জলসীমায় নিরাপত্তা বাড়ানো হবে, বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতা। সরকার বারবার চোরাই পথে বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করে আসছে।
দেশের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পথে পাচার ঠেকাতে বিজিবির টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে গণসচেতনতা বাড়াতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে মানবপাচার রোধে সবচেয়ে বেশি প্রযোজন গণসচেতনতা। একমাত্র গণসচেতনতার মাধ্যমে বিদেশে চাকরীর প্রলোভনে পাচার রোধ করা সম্ভব বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।